আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই, স্পষ্ট করে দিল কমিশন
এবার ভোটপর্বের শুরু থেকেই রাজ্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। চাপের আবহ কাটাতে সম্প্রতি কমিশনের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে অবশ্য টলতে নারাজ কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই, আজ স্পষ্ট করে দিল কমিশন।
![আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই, স্পষ্ট করে দিল কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই, স্পষ্ট করে দিল কমিশন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/03/28/52317-election-28-3-16.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: এবার ভোটপর্বের শুরু থেকেই রাজ্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। চাপের আবহ কাটাতে সম্প্রতি কমিশনের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতে অবশ্য টলতে নারাজ কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই, আজ স্পষ্ট করে দিল কমিশন।
ভোটপর্বের শুরু থেকেই তত্পর কমিশন। একের পর এক কড়া নির্দেশ। একাধিক আমলা ও পুলিসকর্তাকে বদলি। কমিশনের ওপর পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল তৃণমূলেরও। তবে টলানো গেল না কমিশনকে। ভিডিও কনফারেন্সে ফের কড়া বার্তা এল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেওয়া হল, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে রাজ্য প্রশাসন কমিশনের আওতাধীন ঠিকই। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব রাজ্যকেই নিতে হবে। এবং সেগুলি যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করেছে কমিশন। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের কড়া নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। তড়িঘড়ি সব জেলার জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া নজরদারি চালাতে হবে ডিএম-এসপিদের, এমনই নির্দেশ গেল নবান্ন থেকে।
কমিশনের ওপর যতই চাপ তৈরির কৌশল নিক শাসক দল, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কমিশন যে বিন্দুমাত্র নরম হবে না, তা বুঝিয়ে দিল কমিশন।