ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, মাথা বাঁচাতে হেলমেট পরেই রোগী দেখছেন ডাক্তাররা
ইতিমধ্যেই ওই ভবনটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদ পুরসভা
নিজস্ব প্রিতবেদন: হাসপাতালে রোগীদের ঘরে ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। কখনও রোগীর ওপরে তো আবার কখনও ডাক্তারদের মাথায়। সরকারের নজর নেই। রাস্তা বের করতে এগিয়ে এলেন ডাক্তাররাই। তাঁরা এখন ওয়ার্ডে আসছেন হেলমেট পরে। আউটডোরে রোগীও দেখছেন মাথা হেলমেটের আড়ালে মাথা বাঁচিয়েই। এমনই আজব পন্থায় প্রতিবাদে নেমেছেন হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতালের ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন-তৈরি হল TMCP-র নতুন কমিটি, রইলেন সেই জয়াই
তেলেঙ্গানার ওই হাসপাতালটি রয়েছে একটি হেরিটেজ ভবনে। বাড়িটির বয়স একশো বছরেরও বেশি। ছাদ থেকে কংক্রিটের অংশ খসে ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন ৫ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন রোগী ও ডাক্তার। এরপরই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রোজ কয়েক ঘণ্টা হেলমেট পরে ডিউটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাক্তার ও নার্সরা। গোটা হাসপাতালটাই তাঁদের কাছে এখন ’আনসেফ জোন’।
উল্লেখ্য, এর আগেও এনিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। মাথা বাঁচাতে তাঁরা টানা ৪ মাস প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছিলেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রক্ষ্মণ রেড্ডি আশ্বাস দিলেও কোনও কাজ হয়নি। ডাক্তারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এনিয়ে এখন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ বর্তমানে রাজ্যে চালাচ্ছে তদারকি সরকার। ফলে কোনও সুরাহা হওয়ার আশা দেখছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন-মেয়ের মুখের খাবার কেড়ে ফেলে দিত বাবা! প্রতিবাদ করায় মাকে খুন
ইতিমধ্যেই ওই ভবনটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদ পুরসভা। তবে রাজ্য মেডিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশনের মতে ওই ভবনটির মাত্র দুটি তলা বিপজ্জনক। ২০১৫ সালে ওই হেরিটেজ ভবনটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদের ফলে তা করা যায়নি। ফলে এখনও সেখানেই রয়ে গিয়েছে হাসপাতালটি।