নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতের মুসিলমদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই: শাহি ইমাম
নাগরিকত্ব সংশোধনি বিল সংসদে আইনে পরিণত হতেই দেশজুড়ে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে এর প্রভাব পড়েছে সবথেকে বেশি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার সরব হলেন দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি। সংবাদমাধ্যমে বুখারি বলেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জী এখনও আইের উর্ধ্বে নয়।
আরও পড়ুন-আজ জয়রামবাটিতে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে মা সারদার ১৬৭তম জন্মতিথি
নাগরিকত্ব সংশোধনি বিল সংসদে আইনে প্ররিণত হতেই দেশজুড়ে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে এর প্রভাব পড়েছে সবথেকে বেশি। পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভের আগুনে জ্বলেছে বাস-ট্রেন। টানা পাঁচ দিন ধরে চলেছে বিক্ষোভ।
Shahi Imam of Delhi's Jama Masjid, Syed Ahmed Bukhari: There is a difference between Citizenship Amendment Act (CAA) & National Register of Citizens (NRC). One is CAA that has become a law, and the other is NRC that has only been announced, it has not become a law. (17.12.19) pic.twitter.com/Eo9bjd8YTp
— ANI (@ANI) December 18, 2019
Shahi Imam of Delhi's Jama Masjid, Syed Ahmed Bukhari: Under Citizenship Amendment Act (CAA), the Muslim refugees who come to India from Pakistan, Afghanistan, & Bangladesh will not get Indian citizenship. It has nothing to do with the Muslims living in India. (17.12.19) https://t.co/zlOIlQXocg
— ANI (@ANI) December 18, 2019
সংবাদসংস্থাকে বুখারি বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার সংবিধান আমাদের দিয়েছে। এই প্রতিবাদ করা থেকে আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। কিন্তু দেখতে হবে সেই প্রতিবাদ যেন সশৃঙ্খল হয়। আমাদের আবেগ, ক্ষোভ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। নাগরিকত্ব আইন ভারতীয় মুসলিমদের ওপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বরং তার প্রভাব পড়বে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফাগানিস্থান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের।
আরও পড়ুন-পঞ্চসায়র ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালক মানসিক ভাবে 'সাবালক', পেশ মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার রিপোর্ট
এদিকে, আজ নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেইসব আবেদনের বলা হয়, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। কারণ এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নেই। ওইসব আবেদন নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে।