নেহেরুর ভুলের জন্য সোনিয়া-রাহুলদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি নেতাজির নাতির
সুভাষচন্দ্র বসু ও তার পরিবারের ওপর গোপনে নজরদারির বিষয়ে সরব হলেন নেতাজির পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বোস। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রকুমার বোস দাবি করেছেন, নেহেরুর ভুলের কথা স্বীকার করে সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধীর এখনই ক্ষমা চাওয়া উচিত। চন্দ্রকুমার বোস বলেছেন, ''নেহেরুর ভুলের জন্য সোনিয়া-রাহুলের ফাঁসির দাবি করছি না। আমি শুধু বলছি ওদের পূর্বপুরুষদের ভুলের কথা এখন স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিক সোনিয়া-রাহুল।''
ওয়েব ডেস্ক: সুভাষচন্দ্র বসু ও তার পরিবারের ওপর গোপনে নজরদারির বিষয়ে সরব হলেন নেতাজির পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বোস। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রকুমার বোস দাবি করেছেন, নেহেরুর ভুলের কথা স্বীকার করে সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধীর এখনই ক্ষমা চাওয়া উচিত। চন্দ্রকুমার বোস বলেছেন, ''নেহেরুর ভুলের জন্য সোনিয়া-রাহুলের ফাঁসির দাবি করছি না। আমি শুধু বলছি ওদের পূর্বপুরুষদের ভুলের কথা এখন স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিক সোনিয়া-রাহুল।''
গত সপ্তাহে রাজ্য সরকার নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল প্রকাশ্যে আনার পর ঝড় শুরু হয়। ফাইল অনুযায়ী ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত নেতাজির পরিবারের ওপর নিয়মিত নজরদারি চলেছিল। নেতাজির দুই ভাইপো অমিয়নাথ বসু এবং শিশিরকুমার বসুর ওপর নজরদারি চালাত রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা শাখা। উডবার্ন পার্ক এবং এলগিন রোডে বসু পরিবারের দুটি বাড়িতে নজরদারি চালিয়ে পাওয়া তথ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানো হতো। স্বাধীনতার পরও নেতাজির পরিবারের ওপর নজরদারি চলত কেন? তবে কি সরকারের মনেও সন্দেহ ছিল, তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করে।
নেতাজির শেষ পরিণতি কী হয়েছিল তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের যেমন শেষ নেই তেমনই গবেষকরাও দ্বিমত।
১৯৬৪ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা অফিস অফ স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিসের নথি বলছে, নেতাজি দেশে ফিরলে নেহরু সরকারের ওপর তার প্রভাব কী হবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত।
১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট কোনও বিমান দুর্ঘটনা হয়নি বলে মনোজ মুখার্জি কমিশনকে জানায় তাইওয়ান প্রশাসন।
১৯৪৯ সালে নেতাজির দাদা শরত্ বসু নেশন পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, নেতাজি চিনে আছেন।