পেনশন বিলে সংশোধনী নিয়ে এগোতে পারল না সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেনশন বিলে অনুমোদনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু মতপার্থক্যের জেরে বিলটি পিছনো হয়েছে। আর্থিক সংস্কার নিয়ে মনমোহন সিং সরকারের দ্বিধাগ্রস্ত মনোভাবের জেরে ইতিমধ্যেই শিল্পমহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আর্থিক সংস্কারের পক্ষে জোরালো সওয়াল করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের চাপে পিছিয়ে এল সরকার। সাধারণ মানুষের পেনশনের টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি রয়েছে বামদলগুলির। আপত্তি রয়েছে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরও।
শরিকি বাধা কাটিয়ে কি অবশেষে আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে মনমোহন সিং সরকার? পেনশন বিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েই কি সেই লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করতে চলেছেন প্রণব মুখার্জিরা? রাজধানীর অলিন্দে তা নিয়ে তুমুল জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। সেই বৈঠকেই পেনশন বিলের অনুমোদন নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু রেলমন্ত্রী মুকুল রায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে তৃণমূলের কোনও সাংসদ নেই। আর ইউপিএ শরিক হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়নি। তাই মন্ত্রিসভার বৈঠককেই প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ক্যাবিনেটের বৈঠকে পেনশন বিল অনুমোদনের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী।
সাধারণ মানুষের পেনশনের টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি রয়েছে বামদলগুলির। আপত্তি রয়েছে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শরিক দল ডিএমকে'রও। তবে শরিকি বাধা কাটিয়ে সংসদে পেনশন বিল পাশ করাতে বদ্ধপরিকর মনমোহন সিং সরকার। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কৌশলগত কারণেই জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নেবেন মনমোহন-প্রণব-মন্টেকরা।
আপাতত নয় পেনশন বিল