অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি কার, সোমবার দেশের নজর সুপ্রিম কোর্টে
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় বাবরি মসজিদস্থলের জমি তিন ভাগে ভাগ করা হবে। একভাগ দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। অন্য দুই ভাগ দেওয়া হবে নির্মোহী আখাড়া ও রামলালাকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই চাগাড় দিয়ে উঠছে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি আসলে কার। বিভিন্ন মহল থেকে বিজেপির ওপরে চাপ ক্রমশই বাড়ছে। এর মধ্যেই আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে বাবরি মামলার শুনানি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা একাধিক আবেদনের শুনানি করবে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-দক্ষিণে সাম্রাজ্য বিস্তারে 'রাম মন্দির' পেয়ে গেলেন অমিত শাহ?
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় বাবরি মসজিদস্থলের জমি তিন ভাগে ভাগ করা হবে। একভাগ দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। অন্য দুই ভাগ দেওয়া হবে নির্মোহী আখাড়া ও রামলালাকে। ওই রায় মেনে নিতে পারেনি কোনও কোনও মহল। এভাবে কোনও ধর্মীয়স্থানের জমি ভাগ করা যায় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন তারা।
সোমবার ওই মামলা উঠছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চে। অন্য দুই বিচারপিত হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ ও বিচারপিত এম কে যোসেফ। অযোধ্যা বিতর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায়। সেখানে বলা হয়েছে মসজিদ ইসলামের কোনও অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ নয়।
আরও পড়ুন-‘উনি বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু’, মোদীর ভূয়শী প্রশংসা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে, শুনানির আগে আদালতের রায়ের ওপরেই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সংখ্যালঘু উন্নয়ণ মন্ত্রী মহসিন রাজা, অল ইন্ডিয়া মুসিলম পার্সোন্যাল ল বোর্ডের সদস্য জাফরইয়াব জিলানিরা। জিলানি সংবাদমাধ্যমে বলেন, জানি না প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কী রায় দেবেন। আদালত নিজের মতো করে বিষয়টি বিচার করবে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই।
বিষয়টি নিয়ে মহসিন রেজা জানিয়েছেন, আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি মামলাটির নিস্পত্তি হয়ে যাবে। আদালত যে রায়ই দিক না কেন আমরা তা মেনে নেব।