শশীর বিছে-মন্তব্যে শিবভক্ত রাহুলের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি বিজেপির

নিজেকে শিবভক্ত বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী অথচ তাঁরই দলের নেতা শিবলিঙ্গকে অপমান করছেন, শশীর মন্তব্যে কংগ্রেসকে বিঁধলেন রবিশঙ্কর।  

Updated By: Oct 28, 2018, 09:25 PM IST
শশীর বিছে-মন্তব্যে শিবভক্ত রাহুলের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীকে বিছের সঙ্গে তুলনা করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করল বিজেপি। দলের নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের বক্তব্য, শশী থারুরের মন্তব্য সমর্থন না করলে হিন্দুদের কাছে ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী। 

বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ''নিজেকে শিবভক্ত বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী অথচ তাঁরই দলের নেতা শিবলিঙ্গকে অপমান করছেন। হিন্দুদের ভগবানের অবমাননা করা হয়েছে। শিবলিঙ্গের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন থারুর। মহাদেবকে নিয়ে এমন জঘন্য মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে রাহুল গান্ধীকে''। রবিশঙ্কর আরও বলেন,''মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর দলের নেতা এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বিশ্ব নেতা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেভাবে নিম্নরুচির ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দেখছে গোটা দেশ''।   

সুনন্দা পুষ্কর হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে নাম না করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন,''খুনে অভিযুক্ত ভগবান শিবকে অপমান করেছেন''। রবিশঙ্করের এই মন্তব্যে শশী থারুরের পাল্টা প্রশ্ন, ''কোন খুনের ঘটনার কথা বলছেন? আপনাদের পরিকল্পনা না আবিস্কার করেছেন?''   

বেঙ্গালুরুতে সাহিত্য উত্সবে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ বলেন, ''মোদী ও আরএসএসের সম্পর্ক বোঝাতে এক সাংবাদিকের কাছে দারুণ একটা রূপক ব্যবহার করেছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরএসএস নেতা। তিনি বলেছিলেন, শিবলিঙ্গের মাথায় বিছের মতো চড়ে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। হাত দিয়েও সরানো যাবে না, আবার চপ্পল দিয়েও মারা যাবে না''। 

শনিবার বেঙ্গালুরুতে সাহিত্য সম্মেলনে নিজের লেখা বই The Paradoxical Prime Minister' নিয়ে কথা বলছিলেন, তখনই শশী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টিপ্পনি কাটেন। কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, মোদীত্ব অর্থাত্ মোদী ও হিন্দুত্বের মেলবন্ধনের কারণেই আরএসএসের সংগঠনে এতটা উপরে আসতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।এরইসঙ্গে মোদী সরকারকে নিশানা করে শশী থারুর দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পুরনো কর্মীদের মোদীর নিযুক্ত কর্মীদের সম্মতির অপেক্ষায় থাকতে হয়। এজন্য সিবিআই অধিকর্তা বদলের খবর জানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিদেশনীতি পরিবর্তনের ব্যাপারে অন্ধকারে থাকেন বিদেশমন্ত্রী। রাফাল চুক্তির খুঁটিনাটি বদলের ব্যাপারে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত জানতে পারেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

আরও পড়ুন- মোদীর মেকআপ শিল্পীর মাসে বেতন ১৫ লক্ষ! আসল সত্যিটা কী?

.