জেল থেকে বেরিয়েই সরকারের সমালোচনা অসীম ত্রিবেদীর
"সংসদ কক্ষে বসেই পর্ন ছবি দেখা, ঘুষ নেওয়ার মতো ঘটনা যদি প্রতিষ্টান বিরোধী না হয় তাহলে আমাকে কেন রাজদ্রোহিতার অপরাধে গরাদের পিছনে যেতে হল"? জেল থেকে বেরিয়ে এইভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদী।
"সংসদ কক্ষে বসেই পর্ন ছবি দেখা, ঘুষ নেওয়ার মতো ঘটনা যদি প্রতিষ্টান বিরোধী না হয় তাহলে আমাকে কেন রাজদ্রোহিতার অপরাধে গরাদের পিছনে যেতে হল"? জেল থেকে বেরিয়ে এইভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদী। বুধবার মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের বাইরে তাঁকে জাতীয় পতাকায় অভ্যর্থনা জানান অসংখ্য সমর্থক। তাঁর পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁকে নিরাপরাধে গ্রেফতার করার জন্য সরকারকে নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে বলে জোর গলায় দাবি করেন অসীম। সেইসঙ্গেই ভারতের রাজদ্রোহিতা আইনের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই থামবে না বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবারই ৫০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে মুম্বই আদালত। প্রথমে জামিন নিতে করেন অস্বীকার করেন অসীম। তাঁর দাবি ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁর ওপর আরোপ করা সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হচ্ছে তিনি জেলের ভিতরেই থাকবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আর আর পটেল তাঁর উপর থেকে রাজদ্রোহিতার মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিলে জামিন নিতে সম্মত হন অসীম। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মুম্বই আদালত। যদিও তাঁর ওপর জাতীয় সম্মান অবমাননার মামলা বহাল থাকবে।
গত ডিসেম্বরে মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলায় প্রবীণ সমাজকর্মী আন্না হাজারের ৩ দিনের অনশনে অংশ নেন কানপুরের ফ্রিলান্স কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদী। তখনই নিজের ওয়েবসাইটে তিনটি কার্টুন প্রকাশ করেন তিনি। মাদার ইন্ডিয়া, অশোক চক্র এবং সংসদ ভবনের প্রতিকৃতি ব্যবহার করে কার্টুন আঁকেন অসীম ত্রিবেদী। সবকটিরই মুখ্য বিষয় ছিল দুর্নীতি বিরোধিতা। ওই ৩ টি কার্টুন নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। পুলিসে অভিযোগও দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত মাসে একটি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এবং শনিবার আত্মসমর্পণ করতে হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা এবং জাতীয় সম্মান অবমাননার মামলা করা হয়েছে।