গর্ভবতীর মৃত্যু: আইরিশ দূতকে ডেকে পাঠাল বিদেশমন্ত্রক
ধর্মীয় বাধার অমানবিক অনমনীয়তার জেরে গর্ভপাত না হওয়ায় ১৭ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় মারা গিয়েছেন আয়ারল্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক ৩১ বছরের সবিতা হালাপ্পানাভার। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চলা বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকেও। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রকের তরফ থেকে দিল্লিতে আয়ারল্যান্ডের দূত ফেইলম ম্যাক্লফলিনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ধর্মীয় বাধার অমানবিক অনমনীয়তার জেরে গর্ভপাত না হওয়ায় ১৭ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় মারা গিয়েছেন আয়ারল্যান্ডে দন্ত চিকিৎসক ৩১ বছরের সবিতা হালাপ্পানাভার। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চলা বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকেও। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রকের তরফ থেকে দিল্লিতে আয়ারল্যান্ডের দূত ফেইলম ম্যাক্লফলিনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আয়ারল্যান্ডে অবশ্য ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য দুটি পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রথমটি সেদেশের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে গ্যালওয়ে ইউনিভার্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে করা হবে। অপরটি একটি স্বাধীন তদন্তকারী দল। সেই তদন্তের রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষা করে আছে ভারত।
দূতাবাসের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তার পূর্নাঙ্গ তদন্ত করতে আয়ারল্যান্ড সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় সেদেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবিতা হালাপ্পানাভারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এর মধ্যেই দিল্লির জোর বাগে আয়ারল্যান্ডের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি সমর্থকেরা।
পেশায় ইঞ্জিনিয়র, সবিতার স্বামী প্রবীণ গ্যালওয়ের বোস্টন সাইন্টিফিকে কর্মরত। গত মাসের ২১ তারিখ মিসক্যারেজের সম্ভাবনা নিয়ে ১৭ সপ্তাহের গর্ভবতী সবিতা আয়ারল্যান্ডের গলওয়ের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পেশায় দন্তচিকিৎসক সবিতা আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা। হাসপাতালে গর্ভপাতের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পরিষ্কার জানানো হয় আয়ারল্যান্ড একটি ক্যাথলিক দেশ। ভ্রূণে প্রাণ সঞ্চার হলে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। ফলাফল? বন্ধ হয়ে যায় সবিতার জরায়ুমুখ। বমি করতে শুরু করেন। দূষিত হয়ে যায় তাঁর রক্ত। ২৮ অক্টোবর সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবিতা হালাপ্পানাভার।
সবিতার স্বামী প্রবীণ হালাপ্পানাভারের হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও চিকিত্সকের কর্তব্য ভুলে নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসেই অনড় থেকেছেন চিকিত্সকরা। এর জেরে রক্তে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে সবিতার। প্রবীণ হালাপ্পানাভারের অভিযোগ ঠিক সময়ে চিকিত্সকরা উদ্যোগী হলে তাঁর স্ত্রীর প্রাণরক্ষা পেত। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পর থেকে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে।