আপ কা সওয়াল এখন ছড়িয়ে পড়ছে সোশাল সাইটে

ত্রিশঙ্কু দিল্লিতে সরকার গড়বে কে? জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখন সাধারণ মানুষের কাঁধে। সরকার গঠন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে না পেরে মানুষের দরবারে আম আদমি পার্টি। কিন্তু কতটা যুক্তিযুক্ত এই পথ? কতটা বাস্তবসম্মত?

Updated By: Dec 18, 2013, 06:26 PM IST

ত্রিশঙ্কু দিল্লিতে সরকার গড়বে কে? জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখন সাধারণ মানুষের কাঁধে। সরকার গঠন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে না পেরে মানুষের দরবারে আম আদমি পার্টি। কিন্তু কতটা যুক্তিযুক্ত এই পথ? কতটা বাস্তবসম্মত?

ভোটযুদ্ধে আশাতীত সাফল্য পেয়েও দিল্লিতে আম আদমি পার্টির ভবিষ্যত এখনও ঝুলে। বিজেপি কিংবা কংগ্রেস, কারও হাত ধরে সরকার গড়বে কি আপ? বারবার বৈঠক-আলোচনা করেও এই প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ কেজরিওয়ালরা। উত্তর পেতে তাই আবারও ভরসা সেই জনাদেশ।

তবে পুনর্নির্বাচন নয়, এবার জনমত যাচাই করতে নেমেছে আম আদমি পার্টি। আপ-এর ওয়েবসাইট খুললেই এখন জ্বলজ্বল করছে এই প্রশ্ন.. দিল্লিতে কি আম আদমি পার্টির সরকার গঠন করা উচিত? আপনার রায় জানতে চান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে সাড়াও মিলতে শুরু করেছে। বাড়ছে কমেন্টস। কেউ স্পষ্টই বলছেন হ্যা, কারোর জবাব না। অনেকে আবার পুনর্নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

সবই ভাল। কিন্তু বাস্তবসম্মত কতটা? এই প্রশ্নটাই তুলতে শুরু করেছে পর্যবেক্ষক মহল।

৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় কোনও দলই ম্যাজিক ফিগারে পৌছতে পারেনি। শরিক শিরোমণি অকালি দলের একটি আসন সমেত বিজেপি সর্বাধিক বত্রিশটি আসন পেলেও বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপ-এর ২৮ জনকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিয়েছে দিল্লিবাসী। মানুষ রায় দিয়েছেন।এবার কেজরিওয়ালদের পালা ছিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু তা না করে ফের তাঁরা পৌছে গেছেন সেই মানুষেরই দরবারে। জবাবের প্রত্যাশায়।

প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষকে চিঠি দিয়ে জনমত যাচাইয়ে নেমেছে আপ। এছাড়া তো রয়েইছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি। এসএমএস করেও মতামত জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে মানুষের সামনে। ৭০ টি বিধানসভা এলাকায় জনসভা করেও সাধারণ মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করবেন কেজরিওয়ালরা। এর ভিত্তিতে সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আম আদমি পার্টি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজ নেওয়ার কি বৈধতা রয়েছে? সরকার গঠনের জন্য কি মানুষ তাহলে দু-বার ভোট দেবেন? সাংবিধানিক পদ্ধতিতে কি এভাবে জনমত সমীক্ষা করে এগিয়ে যাওয়া যায়?

মাত্র ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় যদি একটা সিদ্ধান্ত নিতে এই অবস্থা হয়, তাহলে এরপর কি করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল? আপ-এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, লোকসভা ভোটেও লড়বেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে পাঁচশো তেতাল্লিশ আসনের লোকসভার লড়াইয়েও যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কি এভাবেই বারবার জনমত যাচাই করতে নামবেন তাঁরা?

.