মারণ রোগের মরণ বিষ! সাপ, কাঁকড়াবিছে, মৌমাছির বিষে ক্যানসার সারতে পারে দাবি ভারতীয় বিজ্ঞানীর

বিষে বিষক্ষয়! সাপের বিষ অনেক মারণ রোগের ওষুধ তৈরি করতে কাজে লাগে। তবে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় বিজ্ঞানী দীপাঞ্জন পান ও তাঁর সহকারীরা আবিস্কার করেন সাপ, কাঁকড়াবিছে ও মৌমাছির বিষ দিয়ে ক্যানসারকেও রোখা যায়। তাঁরা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেছেন, এইসব বিষধর প্রাণীর বিষ প্রয়োগ করে ব্রেস্ট ক্যানসার ও মেলানোমা কোষের বৃদ্ধি রুখতে সক্ষম।

Updated By: Aug 14, 2014, 06:45 PM IST
মারণ রোগের মরণ বিষ! সাপ, কাঁকড়াবিছে, মৌমাছির বিষে ক্যানসার সারতে পারে দাবি ভারতীয় বিজ্ঞানীর

ওয়েব ডেস্ক: বিষে বিষক্ষয়! আমরা জানি কেমোথেরাপিতে সাপের বিষ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ক্যানসার রুখতে উল্লেখযোগ্য সাফাল্য লাভ করেন এক ভারতীয় বিজ্ঞানী। আরও এক ধাপ এগিয়ে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী দীপাঞ্জন পান ও তাঁর সহকারীরা আবিস্কার করেন সাপ, কাঁকড়াবিছে ও মৌমাছির বিষ দিয়ে ক্যানসারকে রোখা যায়। তাঁরা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেছেন, এইসব বিষধর প্রাণীর বিষ প্রয়োগ করে ব্রেস্ট ক্যানসার ও মেলানোমা কোষের বৃদ্ধি রুখতে সক্ষম।

বহুযুগ ধরে চিকিত্‍সকরা এইসব বিষ দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিত্সা করে আসছেন। খ্রীস্টপূর্ব ১৪ বছরে গ্রিক লেখক প্লিনি দ্য এল্ডার লিখেছিলেন, মৌমাছির বিষ ব্যবহার করলে টাকে চুল গজাতে পারে। আবার ৭৮০ খ্রীষ্টাব্দে ইউরোপের মহান সম্রাট চার্লেমাগনের গাঁটে ব্যাথায় নাকি ডাক্তাররা মৌমাছির হুল ফোটাতেন। চিনের প্রাচীন চিকিত্সাশাস্ত্রেও ব্যাঙের বিষ যকৃত, ফুসফুস ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সারাতে ব্যবহত হওয়ার কথা লেখা রয়েছে। আবার, কিউবায় ডাক্তাররা ব্রেন টিউমারের জন্য কাঁকড়াবিছের বিষ ব্যবহার করে থাকেন।

সাধারণত কারও শরীরে বিষ ঢুকলে প্রাণহানী হতে পারে। যেমন মৌমাছির হুল ফুটলে মেলিটিন থাকার কারণে প্রচন্ড জ্বালা করে। অতিরিক্ত বিষ কোষের ঝিল্লি নষ্ট করে দেয়। তারপর রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে হৃদপিন্ডের পেশিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত করে। ক্যানসার কোষের উপর একই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

কিন্তু, দীপাঞ্জন পানের বিশেষজ্ঞ দল এক নতুন দিশা দেখান। বিষের মধ্যে থাকা প্রোটিন ও পেপটাইডকে আলাদা করে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

.