ঝটপট মেদ ঝরানো থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, জানুন ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার ৭টি আশ্চর্য উপকারিতা!

আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Apr 29, 2020, 07:32 PM IST
ঝটপট মেদ ঝরানো থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, জানুন ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার ৭টি আশ্চর্য উপকারিতা!

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চাই পরিচ্ছন্নতা, সাবধানতার। একই সঙ্গে এই সময় সুস্থ থাকাটাও একান্ত প্রয়োজন। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সবয় ধরে শরীরচর্চার অভাব, সারাদিন বসে বসে কাজ ইত্যাদির কারণে অনেকেই এখন হজমের সমস্যায় ভুগছেন। তার উপর হাজার চেষ্টার পরেও কিছুতেই ওজন কমছে না! মাথা চাড়া দিচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। এমনই অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হল, দিনের মধ্যে কয়েক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল। প্রতিদিন কয়েক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল নিয়মিত খেতে পারলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...

১) আমরা অনেকেই খেতে বসে জল খাই। এতে খাবারের সঙ্গে পাচক রস সঠিক ভাব মিশতে পারে না। ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা দেয়। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া যায়, তাহলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ঈষদুষ্ণ জল খাবার দ্রুত হজমেও সাহায্য করে।

২) দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারলে পেট সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

৩) সাধারণ তাপমাত্রার জলের তুলনায় ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাটা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয় বেশি। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়।

৪) দ্রুত মেদ ঝরাতে ঈষদুষ্ণ জল অত্যন্ত কার্যকর। ঈষদুষ্ণ জল খেলে শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং সহজেই অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। ঈষদুষ্ণ জল খিদে বোধ কমিয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে মেদ ঝরবে দ্রুত।

৫) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারলে শরীরের টক্সিক উপাদানগুলি সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বাড়বে শরীরের আভ্যন্তরীন তাপমাত্রাও। শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে শিরা, ধমনীতে রক্তচলাচলের গতিও স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়।

Warm Water

৬) দীর্ঘদিন ধরে বাতের ব্যথায় ভুগছেন? এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে খান এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল। ঈষদুষ্ণ জল খেলে শরীরের সক্ত সঞ্চালন বাড়বে, শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে ব্যথা বোধও ক্রমশ কমে আসবে।

আরও পড়ুন: লকডাউনের ফলে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের সম্মুখীন প্রায় ৭০ লক্ষ মহিলা! জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ

৭) পুষ্টিবিদরা বলেন, পেট পরিষ্কার থাকলে শরীরের অনের রোগ আমাদের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। পেট পরিষ্কার থাকলে ত্বকও থাকে ঝকঝকে, উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া যায়, বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়। ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকেও সহজেই দূরে থাকা যায়।

.