রাজ্যের সন্ধান মিলল সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জনগোষ্ঠীর

বিহার, উত্তরপ্রদেশের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও সন্ধান মিলল সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতির জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক। এ রাজ্যে মুসাহার এবং ঘাসি জনগোষ্ঠীর মানুষজন সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতির গোষ্ঠী বলে দাবি কেন্দ্রের।

Updated By: Mar 7, 2014, 01:46 PM IST

বিহার, উত্তরপ্রদেশের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও সন্ধান মিলল সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতির জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক। এ রাজ্যে মুসাহার এবং ঘাসি জনগোষ্ঠীর মানুষজন সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতির গোষ্ঠী বলে দাবি কেন্দ্রের।

বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে এর আগে সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতির দেখা মিলত। এ রাজ্যেও এবার তফশিলি জাতির দেখা মিলেছে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের।

মুসাহার এবং ঘাসি জনগোষ্ঠীর মানুষজন এরাজ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতিভূক্ত জনগোষ্ঠী বলে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্র। এ রাজ্যে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে রয়েছেন এই দুটি জনগোষ্ঠীর মানুষজন। মূলত সমাজবন্ধু অর্থাত্ মুচি, মেথর, ডোম ইত্যাদি কাজ করে থাকেন তাঁরা।

পেশা, আয়, শিক্ষার হার, নারী শিক্ষার হার, জীবনযাপন সহ একাধিক বিষয়গুলিকে বিবেচনা করে তফশিলি জাতির সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী চিহ্নত করা হয়।

চিহ্নিতকরণের মাপকাঠি অনুযায়ী তফশিলি জাতি অন্তর্ভূক্ত যে জনগোষ্ঠীর পুরুষদের শিক্ষার হার চল্লিস শতাংশ এবং নারীদের শিক্ষার হার কুড়ি শতাংশেরও কম। নারীশিক্ষার হার কুড়ি শতাংশেরও কম, তাদেরকেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এ রাজ্যের মুসাহার

দেখা গিয়েছে গোটা দেশে যখন তফশিলি জাতিভুক্ত মানুষের শিক্ষার হার যখন কম তখন মুসাহার গোষ্ঠীর নারীশিক্ষার হার দশ শতাংশেরও কম। ঘাসি গোষ্ঠীর কুড়ি শতাংশেরও কম। গত বুধবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলিকে নিয়ে বৈঠক করে সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক। সেখানে রাজ্যের অনগ্রসর উন্নয়ন দফতরের সচিব সঞ্জয় থাড়েকে ডেকে পাঠানো হয়। তার আগে ওই দফতরের যুগ্ম সচিব সঞ্জীব কুমার চিঠি লিখে রাজ্যকে জানায়,

তফশিলি জাতির অন্তর্ভূক্ত যে সব গোষ্ঠী ভীষণভাবে পিছিয়ে পড়েছে বলে কেন্দ্র উদ্বিগ্ন, তার মধ্যেই রয়েছে রাজ্যের এ দুটি জনগোষ্ঠী। কেন্দ্রীয় সরকার এদের জন্য স্পেশাল স্কিমের ব্যবস্থা করছে। পাশাপাশি এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে রাজ্যকেও উদ্যোগ নিতে বলেছে কেন্দ্র।

.