হায়দরাবাদে ফয়সলার পর মহেশতলার মাটিতেই কি প্রথম পরীক্ষা হাত-কাস্তে জোটের?

পার্টি কংগ্রেসে জয়ী ইয়েচুরি লাইন। বিজেপিকে আটকাতে সব গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়েই চলবে সিপিএম। সেখানে বাদ নেই কংগ্রেসও। হায়দরাবাদে ফয়সলার পর বাংলার মাটিতে প্রথম পরীক্ষা আগামী ২৮ মে।

Updated By: Apr 30, 2018, 08:41 PM IST
হায়দরাবাদে ফয়সলার পর মহেশতলার মাটিতেই কি প্রথম পরীক্ষা হাত-কাস্তে জোটের?

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএমকে আসন ছেড়ে মহেশতলা উপ-নির্বাচনে সরে দাঁড়াতে পারে কংগ্রেস। কথা চলছে দু-পক্ষের। মহেশতলায় প্রার্থী দিতে চাইছে না প্রদেশ কংগ্রেস। কংগ্রেসের সমর্থন চাওয়ার কথা খোলাখুলি বলছেন সূর্যকান্ত মিশ্রও। তবে, সরাসরি দু'দলের জোট ঘোষণা কঠিন হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডের কোর্টে।

পার্টি কংগ্রেসে জয়ী ইয়েচুরি লাইন। বিজেপিকে আটকাতে সব গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়েই চলবে সিপিএম। সেখানে বাদ নেই কংগ্রেসও। হায়দরাবাদে ফয়সলার পর বাংলার মাটিতে প্রথম পরীক্ষা আগামী ২৮ মে। আরও পড়ুন- বাজিমাত বঙ্গ সিপিএমের, পার্টি কংগ্রেসে জোটের রাস্তা খুললেন ইয়েচুরি

মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক কস্তুরী দাশের মৃত্যুতে অকাল ভোট। আর সেই উপ-নির্বাচনে বামেদেরই সমর্থন করতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস। অন্য দিকে, কংগ্রেসকে পাশে চাইছে আলিমুদ্দিনও। সম্প্রতি, উলুবেড়িয়া ও নোয়াপাড়া বিধানসভা উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় যায়নি বামেরা। রাজ্যসভায় সীতারাম ইয়েচুরিকে সমর্থনে অধীর চৌধুরীর প্রস্তাবও কার্যকর হয়নি। কিন্তু, সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের পর বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। এই অবস্থায় উপ-নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থীকেই আবার সমর্থন করতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস।

গত বিধানসভা নির্বাচনে মহেশতলায় বামেদের সমর্থন করে কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটেও মহেশতলায় অলিখিত সমঝোতায় গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মহেশতলা উপ-নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চাইছে না প্রদেশ কংগ্রেস। এ নিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্রর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে আবদুল মান্নানের। কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে সি.পি জোশীও মান্নানের সঙ্গে কথা বলে প্রদেশ নেতাদের মত জানতে চেয়েছেন। আরও পড়ুন- ঐক্য না ভাঙন? কার্যত ভোটাভুটিতেই নির্ধারিত হতে চলেছে সিপিএম-এর ভবিতব্য

কিন্তু, সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস আলিমুদ্দিনকে সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় গ্রিন সিগন্যাল দেয়নি। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, সিপিএমের সঙ্গে জোটে গিয়ে হাইকমান্ডও তৃণমূলকে চটাতে চাইছে না। বিধান ভবন অবশ্য চাইছে, প্রার্থী দেওয়ার আগে একবার তাদের সঙ্গে কথা বলে সমর্থন চাক সিপিএম। তাহলে হাইকমান্ডকে বোঝাতেও তাদের সুবিধা হবে। দু-দলেরই কিছু বাধ্যবাধকতা থাকায় শেষপর্যন্ত রফাসূত্র কী বেরোয় এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

.