রেস্তোরাঁয় ভাগাড়ের মরা বিড়ালের মাংসও খেয়েছেন? জোরাল হল সন্দেহ
মানুষের শরীরে ভাগাড়ের জীবাণু? উদ্বেগ এমনই। দক্ষিণ কলকাতার অন্তত ষোলোজন টক্সোপ্লাজমোসিসে আক্রান্ত। টক্সোপ্লাজমো গোন্ডি পরজীবী থেকে এই অসুখ ছড়ায়। আর সেই পরজীবী থাকে বিড়ালের শরীরে। তবে কি ভাগাড় থেকে বিড়ালের মাংসও পাচার হয়েছে রেস্তোরাঁয়? জোরালো হচ্ছে সন্দেহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষের শরীরে ভাগাড়ের জীবাণু? উদ্বেগ এমনই। দক্ষিণ কলকাতার অন্তত ষোলোজন টক্সোপ্লাজমোসিসে আক্রান্ত। টক্সোপ্লাজমো গোন্ডি পরজীবী থেকে এই অসুখ ছড়ায়। আর সেই পরজীবী থাকে বিড়ালের শরীরে। তবে কি ভাগাড় থেকে বিড়ালের মাংসও পাচার হয়েছে রেস্তোরাঁয়? জোরালো হচ্ছে সন্দেহ।
ভাগাড়ের মাংস খেলে কী হয়? এবার বোধহয় সেই উত্তর মিলল। দক্ষিণ কলকাতার অন্তত ১৪ জন আক্রান্ত টক্সোপ্লাজমোসিসে।
ভাগাড়ের জীবাণু
- মূলত বিড়ালের শরীরে থাকে টক্সোপ্লাজমা গোন্ডি
- বিড়ালের বিষ্ঠা বা মাংস থেকে তার সংক্রমণ হয়
মানুষের শরীরে এই পরজীবী ঢুকলে প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। এর ফলে জ্বর, গায়ে ব্যথা, গ্ল্যান্ড ফোলা, পেটে ব্যথা হয়। এডস বা ক্যানসার আক্রান্তের শরীরে এই পরজীবী মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে খিঁচুনি, স্নায়ুর রোগ, রেটিনার ক্ষতি হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আক্রান্ত হলে ভ্রুণের বিকৃতি হতে পারে
কিন্তু যাঁদের শরীরে এই পরজীবী মিলেছে তাঁদের সঙ্গে বিড়ালের সংস্রব বেশি নেই। তবে কোন পথে শরীরে ঢুকল এই পরজীবী। সন্দেহ করা হচ্ছে, ভাগাড় থেকে বিড়ালের মাংস হোটেলে গিয়ে থাকতে পারে। সেই বিড়ালের মাংসের কাবাব খেয়েই হয়তো আক্রান্ত হয়েছেন ওই রোগীরা।