প্রবীর ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা
বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সকাল থেকে চিকিত্সা করছিলেন প্রবীর ঘোষ। ৬ নভেম্বর দুপুর একটা নাগাদ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে তিনি অসংলগ্ন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি স্বীকার করেন কিছুক্ষণ আগে মদ্যপান করেছেন তিনি।
৬ নভেম্বর দুপুর একটা নাগাদ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে তিনি অসংলগ্ন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি স্বীকার করেন কিছুক্ষণ আগে মদ্যপান করেছেন তিনি। খবর জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্রমশ হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিস বাহিনী। অভিযুক্ত চিকিত্সকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। ছুটির দিনে বন্ধ আউটডোর। জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগ সামলাচ্ছেন একজন মাত্র চিকিত্সক। এক্স রে, ইসিজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফির মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঘরেও তালা। বাঘাযতীন হাসপাতালের বিতর্কিত চিকিত্সক প্রবীর ঘোষের রক্ত ও মূত্রের নমুনা পরীক্ষায় অ্যালকোহলের উপস্থিতি মিলেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। প্রবীর ঘোষের ফরেনসিক রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে জমাও পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে স্বাস্থ্য দফতর। দিন কয়েক আগে ডক্টর প্রবীর ঘোষের বিরুদ্ধে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হাসপাতালে ডিউটি করার অভিযোগ ওঠে। তারপরই তাঁর রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা করানো হয়।