মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার ফলে ধাক্কা, রাজ্য অফিসের বাইরে সেলিব্রেশনে সমালোচনায় দিলীপ

মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটগণনার ফল আসতে শুরু করেছে। হরিয়ানা যে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রেও ফল উল্লেখযোগ্য নয়। 

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Oct 24, 2019, 09:00 PM IST
মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার ফলে ধাক্কা, রাজ্য অফিসের বাইরে সেলিব্রেশনে সমালোচনায় দিলীপ

অঞ্জন রায়: মহারাষ্ট্রে সার্বিকভাবে ফল ভালো হয়েছে। কিন্তু লোকসভার নিরিখে দেখতে গেলে প্রত্যাশিত নয় মোটেই। শিবাজির রাজ্যে ২০০টির বেশি আসন জেতার কথা বড় গলায় বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু দুশোর অনেক আগেই থমকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর হরিয়ানায় তো লোকসভা ভোটের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ ভোট কমে গিয়েছে বিজেপির। সে রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগে আটকে গিয়েছে তারা। কিন্তু ভোটের ফল যখন আশানুরূপ হয়নি, তখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য অফিসের বাইরে রীতিমতো তুবড়ি ফাটিয়ে চলল  জয়ের উদযাপন। আর এতে মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছেন না বিজেপি নেতারা।

মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটগণনার ফল আসতে শুরু করেছে। হরিয়ানা যে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রেও ফল উল্লেখযোগ্য নয়। ঠিক তখনই রাজ্য অফিসের বাইরে বাজি ফাটিয়ে জয়ের উদযাপন করলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেলিব্রেশনের উদ্যোক্তা রাজ্য কমিটির সদস্য নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এমন পদক্ষেপে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন নেতারা। দলের মধ্যেই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, এতো দলকে রীতিমতো হাসির পাত্র করে দেওয়া হল। 

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে স্পষ্ট জানান, পটকা ফাটানোর কী আছে! আগে রাজ্যে সরকার হোক, তারপর পটকা ফাটাবেন। অন্য রাজ্যে জিতে পটকা ফাটানো, মিষ্টি ফাটানোর আমি বিরোধী। নিজের রাজ্যে আগে সরকার গড়ি। তার জন্য যাঁরা এসব করেন, তাঁরা নিজের এলাকায় গিয়ে কাজ করুন। এরা এক্সিটপোল বোঝে না। দলটাকেও বোঝে না। দলে কিছু উত্সাহী লোক থাকে। কিন্তু তাঁদের বুদ্ধি থাকা উচিত। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'রাজ্য কমিটি দায় নেবে না। অনুমোদন নেওয়া হয়নি। ফলাফল দেখে করা উচিত ছিল।' 

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, হরিয়ানায় বিজেপি জিতেছে ৪০টি আসন। ৩১টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। মোট ৯০টি আসনে হয়েছে নির্বাচন। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৮৮টি। ১৭টি আসনে এগিয়ে তারা। তবে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের পথে কোনও বাধা নেই। কিন্তু বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বায়না শুরু করে দিয়েছে শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিয়েছেন, অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ৫০-৫০ ভাগে ক্ষমতা বণ্টন করতে হবে। 

আরও পড়ুন- মোদী থাকা ও না-থাকার ফারাক, মাত্র ৬ মাসেই কমল বিজেপির ভোট, দেখে নিন পরিসংখ্যান

.