Junior Mridha খুনে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে প্রিয়াঙ্কা
জুনিয়র মৃধা খুনে প্রিয়াঙ্কা ওরফে মুনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র মৃধা খুনে প্রিয়াঙ্কা ওরফে মুনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এই খুনের ঘটনা গত ৪ জানুয়ারি বলরাম চৌধুরির প্রাক্তন পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করে CBI।
২০১১ সালের ১২ জুলাই। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর খুন হয়েছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা। কিন্তু রাস্তার ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে পুলিস মনে করেছিল, হিট অ্য়ান্ড রান কেস। কিন্তু পরে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাঁর মাথার পিছন দিকে বুলেট গেঁথে রয়েছে বলে দেখা যায়। তদন্ত শুরু করে বরাহনগর থানার পুলিস। এই ঘটনার পর দুবছর কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারছিল না পুলিস। তদন্ত যেন থমকে ছিল। জুনিয়রের পরিবার এর পরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালত জুনিয়র মৃধার পরিবারের আর্জিতে সাড়া দেয়।
মোহনবাগানের প্রাক্তন কর্তা, ব্যবসায়ী বলরাম চৌধুরীর প্রাক্তন পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কা ওরফে মুন এবং টলিউডের প্রযোজক প্রতীক শর্মার নাম জড়িয়েছিল এই খুনের ঘটনায়। তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতিও দিয়েছিল আদালত। সিআইডি তদন্তের পর জানিয়েছিল, জুনিয়র খুন হওয়ার রাতে ২০০ বার প্রতীক ও মুনের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছিল। তবে প্রতীকের দাবি ছিল, মুন তাঁকে ফোন করে জানায়, তাঁর এক বন্ধু মারা গিয়েছে। প্রতীক তাঁকে ফোনে সান্তনা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। তবে জুনিয়রের বাবা সমরেশ মৃধা দাবি করেছিলেন, প্রতীক ও মুন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আর জুনিয়রের খুন সেই ত্রিকোণ প্রেমের জটিলতার জেরেই। মুন ছিল জুনিয়ারের 'ফেসবুক ফ্রেন্ড'। খুনের দিনও মুনের সঙ্গে ১৪ বার ফোনে কথা হয়েছিল জুনিয়রের। CCTV ফুটেজে প্রমাণ মেলে যে ঐদিন মুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন জুনিয়র।
গত ৪ জানুয়ারি জুনিয়র মৃধা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করে বলরাম চৌধুরির প্রাক্তন পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কাকে। টানা ৮ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।