এনফোর্সমেন্টের আটক করা আলু বিকোচ্ছে তৃণমূল কার্যালয়ে
এনফোর্সমেন্টের আটক করা আলু বিক্রি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যলয় থেকে। পুলিসের আটক করা আলু এভাবে কি আদৌ বিক্রি করা যায় কোনও দলের কার্যলয় থেকে? আলু বিক্রির টাকা যাচ্ছে কোথায়? সরকারি কোষাগারে? নাকি তৃণমূলের কোনও নেতার পকেটে? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন। আসানসোল হয়ে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে ২০০ বস্তা আলু আটক করেছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
এনফোর্সমেন্টের আটক করা আলু বিক্রি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যলয় থেকে। পুলিসের আটক করা আলু এভাবে কি আদৌ বিক্রি করা যায় কোনও দলের কার্যলয় থেকে? আলু বিক্রির টাকা যাচ্ছে কোথায়? সরকারি কোষাগারে? নাকি তৃণমূলের কোনও নেতার পকেটে? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন। আসানসোল হয়ে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে ২০০ বস্তা আলু আটক করেছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
পুলিসের আটক করা সেই আলুর বস্তা লরিসুদ্ধ সটান চলে যায় তৃণমূল ভবনে। সেখান থেকেই শুরু হয় আলু বিক্রি। তৃণমূল ভবন থেকে আলু বিক্রির খবর চাউর হতেই লম্বা লাইন পড়ে যায় দফতরের সামনে। পুলিসের আটক করা আলু কোন অধিকারে বিক্রি হচ্ছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে? প্রশ্নটা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেন তৃণমূলের নেতারা। বৃহস্পতিবার তাই আলু বিক্রি শুরু হয় তৃণমূলের কার্যলয়ের ঠিক উল্টোদিকের ফুটপাথ থেকে। দায়িত্বে তৃণমূলের আসানসোলের নেতা শিবদাস রায়।
এনফোর্সমেন্টের আটক করা আলু এভাবে কি বিক্রি করা যায়? কি বক্তব্য পুলিস কর্তাদের? অর্থাত্ আটক পর্যন্ত তাঁদের দায়িত্ব। বাকি দায়িত্ব অবশ্য নিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূল নেতা শিবদাস রায়ের দাবি, এগারো টাকা ষাট পয়সা করে আলু কিনে তেরো টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
তাহলে কেমন দাঁড়াল হিসেবটা? ২০০ বস্তা আলু। এক বস্তায় থাকে ৫০ কেজি। ২০০X ৫০= মোট দশ হাজার কেজি আলু। কিনতে খরচ ১০,০০০X ১১.৬০ টাকা= ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। বিক্রি- ১০,০০০X ১৩ টাকা= ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। অর্থাত্ পুলিসের আটক করা আলু বিক্রি করে তৃণমূল নেতা শিবদাস রায়ের এক বিকেলে লাভ পাক্কা ১৪ হাজার টাকা। শুধু আসানসোল নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই পুলিসের আটক করা আলু বিক্রি হচ্ছে তৃণমূলের কার্যালয় থেকে। আর এই সুযোগে ফুলেফেঁপে উঠছেন অনেক শিবদাস রায়।