মদনের জামিনে সচেতন ছিল না নিম্ন আদালত: হাইকোর্ট
হাইকোর্টে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল নিম্ন আদালতের মদন জামিন মঞ্জুরের রায়। বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুরের রায় দেওয়ার সময় আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল নিম্ন আদালতের।
ওয়েব ডেস্ক: হাইকোর্টে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল নিম্ন আদালতের মদন জামিন মঞ্জুরের রায়। বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুরের রায় দেওয়ার সময় আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল নিম্ন আদালতের।
নিম্ন আদালতের জামিনের রায় একতরফা ও বেআইনি। এই যুক্তিকে সামনে রেখেই হাইকোর্টে মদন মিত্রের জামিন খারিজে ঝাঁপিয়েছিল সিবিআই। দুদিনের সওয়াল জবাব শেষে চওড়া হাসি সিবিআই-র বিশেষ আইনজীবী রাঘবচারুলুর মুখে।
বুধবার সওয়াল জবাবের ফোকাসে ছিল প্রভাবশালী তত্ত্ব। বৃহস্পতিবার অনেকটাই রক্ষণাত্মক ছিলেন মদন মিত্রের আইনজীবী এসকে কাপুর। সন্ধির আগরওয়ালের প্রসঙ্গ তুলে মদন মিত্রের জামিন খারিজের বিরোধিতা করেন তিনি।
মদনের আইনজীবীর প্রশ্ন, "আলিপুর কোর্ট থেকে মদন মিত্রের সঙ্গে একইদিনে জামিন পেয়েছেন সন্ধির আগরওয়ালও। কিন্তু, সন্ধিরের জামিনের বিরোধিতা করেনি সিবিআই। তাহলে কেন মদন মিত্রের জামিনের বিরোধিতা?" এই প্রশ্নের পাল্টা জবাব দিয়ে রাঘবচারুলু বলেন,"সন্ধিরের ক্ষেত্রেও তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না। শুনানি মুলতুবি রাখতে বলা হয়। সেকথা শোনেননি বিচারক।"
নিম্ন আদালতের রায়কে বেআইনি ও পক্ষপাতমূলক বলে তা বাতিলের আর্জি জানান সিবিআই আইনজীবী। রাঘবচারুলু আরও বলেন,"৩১ অক্টোবর এজলাসে মদন মিত্রর পুত্ররা উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে তাঁরা জানলেন বাবা সেদিনই জামিন পাবেন?"
প্রায় দেড়ঘণ্টা দু তরফের আইনজীবীর সওয়াল জবাব চলে। শেষপর্যন্ত মদন মিত্রের জামিন খারিজের নির্দেশ দেয় নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনের রায়ে নিম্ন আদালতের জামিন মঞ্জুরের নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। রায়ে বিচারপতিরা উল্লেখ করেছেন, রায়দানের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত ছিল। যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুর হয়েছে, রায়ে তা উল্লেখ করা উচিত ছিল। অবশেষে হাইকোর্টের রায় গেল মদন মিত্রের বিরুদ্ধে।