শতবর্ষের আলোয় জ্যোতি বসু
বেঁচে থাকলে আজ তিনি একশো বছরে পা রাখতেন। তিনি জ্যোতি বসু। দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে রাজ্য সম্পাদক, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার থেকে বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার একবাক্যে সবাই বলেন দলের মধ্যে জ্যোতিবাবু ছিলেন শৃঙ্খলাপরায়ণতার প্রতীক। দলের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত। মেনে চলতেন তিনি। মেনে চলার পরামর্শ দিতেন সহকর্মীদেরও। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একবারই তার ব্যতিক্রম হয়েছিল।
বেঁচে থাকলে আজ তিনি একশো বছরে পা রাখতেন। তিনি জ্যোতি বসু। দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে রাজ্য সম্পাদক, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার থেকে বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার একবাক্যে সবাই বলেন দলের মধ্যে জ্যোতিবাবু ছিলেন শৃঙ্খলাপরায়ণতার প্রতীক। দলের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত। মেনে চলতেন তিনি। মেনে চলার পরামর্শ দিতেন সহকর্মীদেরও। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একবারই তার ব্যতিক্রম হয়েছিল।
নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তবু কখনও দলের উপরে উঠতে চাইতেন না।
আর এর ব্যতিক্রম ঘটেনি নব্বইয়োর্ধ জীবনেও।
সেটা ১৯৯৬-এর কথা। কেন্দ্রে অকংগ্রেসী অবিজেপি সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব আসে জ্যোতি বসুর কাছে। সে প্রস্তাবে সায় ছিল জ্যোতি বসু আর সিপিআইএণের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক হরকিষেণ সিং সুরজিতের। দুদফায় বৈঠকে বসে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায় জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নেন জ্যোতিবাবু। তবে পরে একটি সাক্ষাত্কারে দলের সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক ভুল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে দলের ভিতরে। তবে জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দল।
সিপিআইএম শীর্ষ নেতাদের ব্যাখ্যা ছিল, জ্যোতিবাবুর ওই মন্তব্য সংসদীয় গণতন্ত্রে বামেদের ভূমিকা কী হবে সেই স্বাস্থ্যকর বিতর্কই উসকে দিয়েছিল। জ্যোতিবাবুর অনেক সহকর্মী এখনও মনে করেন, ঐতিহাসিক ভুলটা না করলে জাতীয় রাজনীতিতে সিপিআইএমের গুরুত্ব কয়েকগুন বাড়ত।
দল তাঁর কথা মানেনি। তবু তিনি দল ছাড়েননি। শেষ জীবন পর্যন্ত সাধ্যমতো দলের কাজ করেছেন। কারণটা স্পষ্ট হয় বিমান বসুর কথায়।