কেন্দ্রের টাকার নয়ছয় রাজ্য অপ্রচলিত শক্তি দফতরে
কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের অপ্রচলিত শক্তি দফতরের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় অনুদান, বায়ো গ্যাস প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের হদিশ মিলেছে সিএজির স্পেশ্যাল অডিট রিপোর্টে। দুর্নীতির কথা কবুল করেছেন অপ্রচলিত শক্তি দফতরের অধিকর্তাও। এতবড় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হতেই তড়িঘড়ি তদন্ত কমিশন গড়েছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের অপ্রচলিত শক্তি দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ায় স্পেশ্যাল অডিটের সিদ্ধান্ত নেয় সিএজি। সেই রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার হাতে।
কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের অপ্রচলিত শক্তি দফতরের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় অনুদান, বায়ো গ্যাস প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের হদিশ মিলেছে সিএজির স্পেশ্যাল অডিট রিপোর্টে। দুর্নীতির কথা কবুল করেছেন অপ্রচলিত শক্তি দফতরের অধিকর্তাও। এতবড় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হতেই তড়িঘড়ি তদন্ত কমিশন গড়েছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের অপ্রচলিত শক্তি দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ায় স্পেশ্যাল অডিটের সিদ্ধান্ত নেয় সিএজি। সেই রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার হাতে।
বেনিয়ম ১
সিএজি জানিয়েছে, গত তিন বছরে বায়ো গ্যাস প্রকল্পে ১২০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে বিনা টেন্ডারে বরাত দেওয়া হয়েছে। ৩০ হাজার বায়ো গ্যাস প্লান্ট বসানোর টাকা মঞ্জুর হয়ে গেলেও কোথাও কোনও নথি নেই। এই খাতে ৪৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা।
বেনিয়ম ২
অনেক এনজিও-ই প্লান্ট তৈরির নামে অগ্রিম হিসেবে ছ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
বেনিয়ম ৩
প্লান্টের কাজ শেষ হয়েছে কিনা তা যাচাই না করেই কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়ায় প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে রিপোর্টে লিখেছে সিএজি।
বেনিয়ম ৪
রিপোর্টে দাবি, কেন্দ্রীয় অনুদানের একশ ৯৩ কোটি টাকা কাজে না লাগিয়ে কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখে অপ্রচলিত শক্তি দফতর। যার জেরে সুদ বাবদ ক্ষতি হয়েছে প্রায় এগারো কোটি টাকা।
বেনিয়ম ৫
সংস্থার আয়-ব্যয়ের হিসেবেও বিস্তর গরমিল পেয়েছে সিএজি।
বেনিয়ম ৬
দেশের প্রথম টাইডাল প্রজেক্ট তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। প্রাথমিক সমীক্ষার জন্য কেন্দ্র ৫ কোটি টাকা দিয়েছিল। অর্ধেকের বেশি টাকা খরচের পরে রাজ্য জানায় তারা এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে পারবে না। টাকাটা কী খাতে খরচ হয় তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দেয়নি অপ্রচলিত শক্তি দফতর।
সিএজি-র তোলা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিশন গড়েছে রাজ্য। আরও পাঁচটা তদন্ত কমিটির মতোই, দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা দিতেই কি?