অস্ত্রপচার সফল, বিপন্মুক্ত জোসেফ
গ্রেফতারের পর পুলিসি অত্যাচারে আহত ছাত্রনেতা জোসেফ হোসেনের অস্ত্রপচার সফল বলে জানালেন চিকিত্সকরা। তাঁর হাত বাদ দিতে হচ্ছে না। আপাতত বিপদ মুক্ত জোসেফ। আর ২-৩ দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে তাঁর কব্জিতে সার ফিরতে এখনও অন্তত ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের ফিজিওথেরাপির।
গ্রেফতারের পর পুলিসি অত্যাচারে আহত ছাত্রনেতা জোসেফ হোসেনের অস্ত্রপচার সফল বলে জানালেন চিকিত্সকরা। তাঁর হাত বাদ দিতে হচ্ছে না। আপাতত বিপদ মুক্ত জোসেফ। আর ২-৩ দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে তাঁর কব্জিতে সার ফিরতে এখনও অন্তত ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের ফিজিওথেরাপির।
বুধবার রাতে সিএমআরআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় গুরুতর জখম জোসেফকে। বৃহস্পতিবার সকালে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তাঁর হাতের ক্ষতিগ্রস্ত শিরায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিত্সকরা। প্রতিবাদ জানাতে ধর্মতলায় এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের এসএফআই নেতা জোসেফ হোসেন। সহকর্মীদের সঙ্গে গ্রেফতার হন। তারপর, বাসের মধ্যে চলে পুলিসি অত্যাচার। পুলিসের লাঠিতে বাসের কাচ ভেঙে জোসেফের হাতে ঢুকে যায়। ছিঁড়ে যায় ডান হাতের শিরা, ধমনী, স্নায়ু, মাংসপেশী। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।
গভীর রাতে জ্ঞান আসার পর, বুধবার সকালে ২৪ ঘণ্টার উদ্যোগে জোসেফের কথা হয় তাঁর বাবার সঙ্গে। জোসেফের জন্য উদ্বিগ্ন খড়গ্রামের ভালকুন্ডি গ্রামের বাসিন্দারাও। বুধবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জোসেফকে দেখতে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, এবং বাম পরিষদীয় দলের সদস্যরা। যে হাতটা তিনি বাড়িয়ে দিতেন মানুষের দিকে, জোসেফের সে হাতেই আঘাতটা গুরুতর। এই হাতটা ফের স্বাভাবিক হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন জোসেফ। অস্ত্রপচারের পর আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে তিনি।