প্রতিবাদী নাট্যকর্মীকে 'কম্পালসরি ওয়েটিং'এ পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী
মাছবিক্রেতার ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রশাসনিক স্তরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়লেন নাট্যকর্মী বিমল চক্রবর্তী। কর্মসূত্রে বিমলবাবু তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্মী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর সচিবালয় থেকে নির্দেশ যায় তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবের কাছে। ওই দফতরের সচিবের নির্দেশে তাঁকে ফের পাঠানো হয় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে। কিন্তু তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছে। নাট্যকর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদ করায় কর্মক্ষেত্রেও শাস্তির মুখে পড়তে হল বিমলবাবুকে।
মাছবিক্রেতার ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রশাসনিক স্তরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়লেন নাট্যকর্মী বিমল চক্রবর্তী। কর্মসূত্রে বিমলবাবু তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্মী। তাঁকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল খাদ্য দফতরে। বিমলবাবুর বিষয়টি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর সচিবালয় থেকে নির্দেশ যায় তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবের কাছে। ওই দফতরের সচিবের নির্দেশে তাঁকে ফের পাঠানো হয় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে। কিন্তু তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছে। নাট্যকর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদ করায় কর্মক্ষেত্রেও শাস্তির মুখে পড়তে হল বিমলবাবুকে।
অন্যদিকে, শুক্রবারই অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে সভা করে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন বুদ্ধিজীবীরা। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও দাবি করেছেন সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
শুক্রবার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে সভার আয়োজন করা হয়। সামিল হন বুদ্ধিজীবীরা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন শঙ্খ ঘোষ। এদিন অ্যাকাডেমির সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় লিখিত বার্তা পাঠান তিনি। শঙ্খ ঘোষ বলেছেন,"গত কয়েকমাস ধরেই আমি বলে আসছি যে, গোটা রাজ্য জুড়ে মস্তানবাহিনীর অবাধ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এরই একেবারে সাম্প্রতিক উদাহরণ, নাট্যকর্মী বিমল চক্রবর্তীর ওপর অন্যায় আক্রমণ। বিমল আজ যেভাবে লাঞ্ছিত সেবিষয়ে কোনও প্রতিকার যদি এখনই না ঘটে তবে আমাদের যে কোনও নাগরিকের কপালেই এ বিষয়ে সে লাঞ্ছনা জুটতে পারে। এমনই এক আতঙ্কজনক পরিবেশের মুখে আমরা দাঁড়িয়ে আছি আজ। দল বা সরকার, এর প্রতিকারের কথা একটু ভাবুন।"
বিমল চক্রবর্তীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকে । অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ঊষা গাঙ্গুলী, চিত্রা সেন সহ সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এদিনের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এমনকী উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীও। আগামী ১১ অক্টোবর বরাহনগরের ইউবি কলোনিতে বিমল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে সভা করবেন নাট্যকর্মীরা।