কলকাতায় বাসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, ঝাঁপ ছাত্রীর
বাসের মধ্যেই রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করল কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাদের হাত থেকে বাঁচতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দেন। এরপর দৌড়ে কলেজ চত্বরে ঢুকে পড়ে সংজ্ঞা হারান তিনি। অন্য ছাত্রীরা তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। এ ঘটনার পর নিরাপত্তার দাবিতে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের সামনে পথ অবরোধ করেন ছাত্রছাত্রীরা।
চলন্ত বাসের মধ্যেই এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। দিনদুপুরে শিয়ালদার মত জনবহুল এলাকায় আজ এ ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দেন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ওই ছাত্রী। অভিযোগ, বাসকর্মীরা ওই ছাত্রীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি। রাজ্যজুড়ে বেড়েই চলেছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। এ নিয়ে প্রতিদিনই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। কিন্ত এসবের তোয়াক্কা না করে দুষ্কৃতীরা যে কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তার প্রমাণ শিয়ালদার ঘটনা। এরপরেও কি হুঁশ ফিরবে না প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মতলা থেকে একটি বেসরকারি বাসে উঠেছিলেন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের এক ছাত্রী। শিয়ালদহের কাছে বাসটি ফাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু বাসের মধ্যে ছিল কয়েকজন উশৃঙ্খল যুবক। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের সামনে বাস থেকে নামতে গেলে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে ওই যুবকেরা। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দেন ওই ছাত্রী। এরপর দৌড়ে কলেজ চত্বরে ঢুকে সংজ্ঞা হারান তিনি।
এরপরই ছাত্রীদের নিরাপত্তার দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। অবরোধে সামিল হন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীরাও। বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি- নর্থ। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সায়েন্স কলেজের পক্ষ থেকে পুলিসের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।