'সব্যসাচী থাকলে আমরা নেই', মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধাননগরের কাউন্সিলররা
বিধাননগর পুরনিগমে তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর সংখ্যা ৩৯।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "সব্যসাচী থাকলে আমরা নেই।" ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে কাউন্সিলর বৈঠকে ঢোকার আগে বললেন পুরপিতা সুধীর সাহা। "তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা নেই।" বৈঠকে ঢোকার আগে ক্ষোভ উগরে দিলেন পুরপিতা সুভাস বোস। তিনি বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র। অথচ আজ তাঁকে বাদ দিয়েই কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডেকেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলে তুঙ্গে জল্পনা।
শুক্রবার আইএনটিটিইউসি-র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। বিধায়ক তথা মেয়রের নেতৃত্বে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সব্যসাচী দত্তের নেতৃত্বে বিদ্যুত ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালান। ভবনের ভিতর মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সব্যসাচী দত্ত বিদ্যুৎ দফতর কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন।
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেছি,' সিঙ্গুরের তুলনা টেনে বিদ্যুতভবন আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক সব্যসাচী
সব্যসাচীর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয় নেতৃত্ব। এরপরই রবিবার বিধাননগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সেই বৈঠকে ডাক পাননি মেয়র সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগর পুরনিগমে তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর সংখ্যা ৩৯। এখন সব্য়সাচী দত্ত বৈঠকে ডাক পাননি। ফলে ৩৮ জন কাউন্সিলরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। তবে দলীয় সূত্রে খবর, ২ কাউন্সিলর আজকের বৈঠকে যোগ দেননি। অন্যদিকে বৈঠকে রয়েছেন নিউটাউনের বিধায়ক সুজিত বোস।