Mandarmani: পর্যটকেরা অচিরেই পেতে চলেছেন সম্পূর্ণ নতুন এক মন্দারমণি? জেনে নিন কীভাবে...
Mandarmani: মন্দারমণিতে হোটেল ভেঙে ফেলা নয় বরং জায়গাটিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেই লক্ষ্যেই প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও হোটেল মালিকদের নিয়ে হল জরুরি এক বৈঠকও।
কিরণ মান্না: পর্যটকদের কাছে দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি একটি অন্যতম ভ্রমণ-ডেস্টিনেশন। দেখতে গেলে দারুণ জনপ্রিয়ও এই জায়গাটি। তবে সম্প্রতি সেখানে হোটেল ভেঙে ফেলা নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যেও রয়েছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব।
তবে এরই মধ্যে এল সুখবর। মন্দারমণির অধিকাংশ হোটেল-নির্মাণ ইত্যাদি ভেঙে ফেলা নয়, বরং মন্দারমণিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে জায়গাটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার! মন্দারমণিপ্রেমী ট্যুরিস্টদের কাছে নিঃসন্দেহে যে খবর বয়ে এনেছে একরাশ আনন্দ।
কী হবে মন্দারমণিতে? জানা গিয়েছে, তৈরি হবে রাস্তাঘাট, বসবে পানীয় জলের নয়া ব্যবস্থা, হবে উদ্যান, মনোরম জায়গা। এই সব গড়ে তুলে আগামী দিনে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হবে মন্দারমণিকে। এই মর্মে মন্দারমণিতে হোটেল মালিক ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি জরুরি বৈঠকও হল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মন্দারমণিতে উন্নয়ন ঘটানো যায়, তারই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।
স্টার ক্যাটেগরির সমতুল্য হোটেল-সহ মন্দারমণিতে ছোটবড় নানা ধরনের মিলিয়ে প্রায় ২০০টি হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪০টিই বেআইনি বলে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রের গ্রিন ট্রাইবুনাল। তবে ঠিক কী কারণে এই সব হোটেল বেআইনি, তা এখনও স্পষ্ট নয় হোটেল মালিকদের কাছে, অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন তাঁরা। এ নিয়ে তাঁরা মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন। চলছে মামলা।
চলতি মাসে দেখা গেল এক ভিন্ন ছবি। গ্রিন ট্রাইবুনাল যেসব হোটেলকে বাআইনি বলে ঘোষণা করছে, সেইসব হোটেলে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন দফতর নেপাল-ভুটান-সহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করছে, হয়েছে এ সংক্রান্ত কনফারেন্স। যদি বেআইনিই হয়, তাহলে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন দফতর বিভিন্ন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এসব জায়গায় বৈঠকই-বা কেন করবেন! এ প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
একেবারে সমুদ্রের কাছে হোটেল হওয়ায় পর্যটকদের কাছে মন্দারমণি আরও বেশি করে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এমন পর্যটনকেন্দ্রে কোনভাবে সমস্যা তৈরি করা নয়, বরং সেটিকে আরও ভালো করে সাজিয়ে তোলাই মূল লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। সেজন্য সব রকম সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার, এমনই জানা গিয়েছে।
বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, রাজ্য পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি রশ্মি সেন, কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য, ভূমি দফতরের অতিরিক্ত জেলাশাসক, রামনগর ২ ব্লকের বিডিও বিএলআরও-সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর মমরেজ আলি, সম্পাদক গৌতম দাস, মোস্তাক আলি খান ও অশোক আদক-সহ একাধিক হোটেল মালিকগণ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)