স্কুল খুলে দেওয়া আশু প্রয়োজন, রাজ্য সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ীর

সিলেবাস ভুলে ছাত্রদের শিক্ষার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পরামর্শ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

Updated By: Feb 9, 2022, 11:57 AM IST
স্কুল খুলে দেওয়া আশু প্রয়োজন, রাজ্য সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ীর
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়া হোক, রাজ্য সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্‍ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhijit Vinayak Banerjee)। কোভিডকালে বন্ধ ছিল স্কুল। তার কী প্রভাব পড়েছে শিশুশিক্ষায়? এই নিয়ে অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট (ASER) বা বার্ষিক শিক্ষার মানের রিপোর্ট নিয়ে আজ এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই পরামর্শ দেন তিনি।

এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কোভিডকালে নব্বই শতাংশ পড়ুয়ার নাম স্কুলে নথিভুক্ত থাকলেও রিডিং লেভেল দশ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া, যারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে পারেনি, তাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা বেড়েছে, অর্থাৎ সার্বিক শিক্ষার মান পড়ে গিয়েছে। এই আলোচনাতেই রাজ্য সরকারকে স্কুল খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ''এখনই স্কুল খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষকদের সিলেবাস নিয়ে না ভাবার পরামর্শ। শিশুদের খামতি দেখে আগে সেটা মেটানো দরকার। স্কুলে না দিয়ে অনভ্যাস তৈরি হচ্ছে।'' 

আরও পড়ুন, West Bengal Municipal Elections 2022: ভোটে ভয় এড়াতে আধাসামরিক বাহিনী দাবি শুভেন্দুর

কোভিডের শিক্ষা ব্যবস্থায় কী প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে এএসএআর অ্যাসেসমেন্ট হয়েছে রাজ্যে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালে রাজ্যে সরকারি স্কুল বন্ধ থাকা সত্বেও ৯০% পড়ুয়ার নাম স্কুলে নথিভুক্ত আছে। আশঙ্কা করা হয়েছিল, অনেকে স্কুল ছেড়ে দেবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে,  এখনও স্কুলে তাদের নাম নথিভুক্ত রেখেছে বহু পড়ুয়া। ২০১৪, ২০১৬,২০১৮ পর্যন্ত পড়ুয়াদের যা রিডিং লেভেল ছিল, তার থেকে প্রায় ১০% রিডিং লেভেল পড়ে গিয়েছে। যাঁরা ক্লাস ওয়ান বা টু’তে পড়ছে অর্থাৎ যাঁরা অঙ্গনওয়াড়িতে যেতে পারেনি তাঁদের পড়তে পাড়ার ক্ষমতা পড়ে গিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, এএসআর হল- অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট। বার্ষিক শিক্ষার মানের রিপোর্ট।  ১৭টি জেলার পরিবারভিত্তিক সংগৃহীত তথ্যের বিশ্লেষণ করে এই তথ্য মিলেছে, সরকারি স্কুলের বাচ্চাদের দুই তৃতীয়াংশ (৬৪.৫%) বাচ্চার পরিবারে স্মার্টফোন আছে। বেসরকারি স্কুলের বাচ্চাদের ৮১.৪% -এর পরিবারে স্মার্টফোন আছে।

১৭ জেলার ৫১০ টি গ্রাম, ১০,১৪১টি বাড়ির ৩-১৬ বছরের ১১,১৮৯ ছেলেমেয়ের উপর সার্ভে করা হয়েছে। ৫-১৬ বছরের ৮,১৫৬ ছেলেমেয়ের অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে (বেসিক রিডিং বা বুনিয়াদী শিক্ষা এবং গণিতের পরীক্ষা করা হয়েছে)। কী মিলেছে রিপোর্টে? ২০১৮ সালে ৬-১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের থেকে ২০২১ সালে সরকারি স্কুলে নাম নথিভুক্তিকরণের হার বেশি। ২০১৮-য় ৮৮.১% এবং ২০২১-এ ৯১.৫% স্কুলে নাম লেখানোই নেই এমন ছেলেমেয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.