Park Circus Murder: 'মোনার ফোন পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়,' পার্ক সার্কাসে খুন অ্যাপ ক্যাব চালক
"মোনা বারবার ফোন করে দেখা করতে চাপ দিচ্ছিল।" বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ স্বামীর ফোনে মোনার ফোন আসে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পার্ক সার্কাস ময়দানের কাছে এক যুবককে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। মৃতের নাম শাহনওয়াজ ফরিদ। নিহত যুবক পেশায় অ্যাপ ক্যাব চালক। বয়স ৩১ বছর।
জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি তিলজলাতে। বন্ধুদের ডাকেই সে পার্ক সার্কাসে গিয়েছিল। তখনই কোনও একটি ইস্যুতে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপরই তাকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিহত যুবকের বন্ধুদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবার। তদন্তে নেমে শাহবাজ এবং টিপু আলম নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে বেনিয়াপুকুর থানা। এছাড়াও তোতলা আজাদ এবং মোনা সহ আরও পাঁচ যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, মহিলাঘটিত কোনও কারণেই সম্ভবত বিবাদ বাঁধে। বচসার পরিণতিতেই এই খুন।
পার্ক সার্কাস ময়দানের পাশে পরিত্যক্ত পুলিস কিয়স্কের সামনে রাত আড়াইটেয় উদ্ধার হয় অ্যাপ ক্যাব চালক শাহনওয়াজ ফরিদের ক্ষতবিক্ষত দেহ। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুনের ঘটনায় শাহনওয়াজ ফারিদের স্ত্রী বেনিয়াপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁর স্বামীর ফোনে মোনা নামে এক যুবকের ফোন আসে। সেই ফোনে শাহনওয়াজকে পার্কসার্কাস ময়দানে আসতে বলা হয়। ফোন পেয়ে শাহনওয়াজ পৌনে ৮টা নাগাদ নিজের তিলজলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টা বেজে গেলেও শাহনওয়াজ বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এমনকি শাহনওয়াজের ফোনও বন্ধ ছিল বলে স্ত্রী জানিয়েছেন। এরপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। কড়েয়া থানার তরফে আশপাশের বিভিন্ন থানাকে অ্যালার্ট করা হয়। তারপরই বেনিয়াপুকুর থানার পুলিস রাত আড়াইটায় পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের কাছে নিখোঁজ শাহনওয়াজের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শাহনওয়াজের স্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, "বন্ধুরাই খুন করেছে আমার স্বামীকে। মোনা বারবার ফোন করে দেখা করতে চাপ দিচ্ছিল। তোতলা আজাদ মোনাকে দিয়ে শাহনওয়াজকে ডেকে পাঠায়।"