Sajid Khan-Bigg Boss 16: সাজিদ খানের বিরুদ্ধে মন্ত্রীকে চিঠি, ধর্ষণের হুমকি দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানকে
Sajid Khan-Bigg Boss 16: মি টু মুভমেন্টে নাম জড়িয়েছিল পরিচালক সাজিদ খানের। এর জেরেই আটকে গিয়েছিল তাঁর আগামী ছবি হাউজফুল ফোর। এবার সেই সাজিদই ডাক পেয়েছেন বিগ বসের ঘরে, সেই নিয়েই উত্তাল বলিউড থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া।
Sajid Khan-Bigg Boss 16, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরিচালক সাজিদ খানকে উত্তাল বলিউড। কিছু বছর আগে এই পরিচালকের বিরুদ্ধে মি টু অভিযোগ এনেছিলেন মন্দানা করিমি সহ আরও বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী। সেই কারণেই দীর্ঘ ৪ বছর কোনও কাজ পাননি পরিচালক। কিন্তু সম্প্রতি সাজিদ খানকে বিগ বসের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আর তাতেই বেজায় ক্ষিপ্ত মন্দনা। সম্প্রতি, বিগ বস ১৬র বাড়িতে সাজিদ খানকে স্বাগত জানিয়েছেন সলমন খান। অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছেন। সাজিদও প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সাফল্য কীভাবে তাঁকে অহংকারী করে তুলেছিল, বিপথে চালনা করেছে। এরপরই সাজিদ খানকে আমন্ত্রণ জানানোয় অনেকেই বিগ বস-১৬ বয়কটের দাবি তুলেছেন।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
সাজিদের নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে তাই অবিলম্বে সাজিদকে বিগ বস থেকে বের করা উচিত, এই আবেদন জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে চিঠি লিখেছিলেন দিল্লি কমিশন ফর উইমেন সংস্থার প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। স্বাতীর দাবি এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি পান তিনি। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন স্বাতী। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘যবে থেকে আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি যে বিগ বস থেকে বাদ দেওয়া হোক সাজিদ খানকে, তবে থেকেই ইনস্টাগ্রামে আমি ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি । বুঝতেই পারছি যে আমাদের কাজ আটকাবার জন্যই এসব করা হচ্ছে। আমি দিল্লি পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রেজিস্টার হোক ও তদন্ত হোক, যারা এসবের নেপথ্যে রয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’
আরও পড়ুন: Sudipa Chatterjee: ‘শুধু শো অফ / নৈতিক শিক্ষার অভাব’ শাড়ি-গয়নার পোস্ট করে কটাক্ষে জেরবার সুদীপা
স্বাতী ট্যুইটে আরও লেখেন যে, ‘মি টু মুভমেন্ট চলাকালীন সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন ১০ জন মহিলা। এতগুলো অভিযোগ সাজিদের মানসিকতারই পরিচয়। এখন সেই ব্যক্তিকেই নিয়ে আসা হয়েছে বিগ বসে। যা একদমই ঠিক নয়। আমি অনুরাগ ঠাকুরকে লিখেছি যে অবিলম্বে সাজিদকে এই শো থেকে বাদ দেওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত #MeToo অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘ চার বছর কাজ পাননি সাজিদ। তবে একজন নয়, একাধিক মহিলা সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন মন্দনা করিমি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে 'হামসকল' ছবির জন্য সাজিদ খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে জামাকাপড় খুলে নগ্ন হতে বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলন অভিনেত্রী। সাজিদকে আবারও বিগ বসে আমন্ত্রণ জানানো বেজায় বিরক্ত মন্দনা। তবে সাজিদ খানকে ফের লাইমলাইটে আস্তে দেখে মোটেও বিস্মিত নন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমি মোটেও বিস্মিত নই, এখন মানুষের ভাবনাটা এমন যে, নিজের লাভের জন্য মাথা বালির মধ্যে গুঁজে দিতেও প্রস্তুত। টাকা পেলে আজকাল মানুষ কোনও কিছুকেই পরোয়া করে না। #Metoo মুভমেন্ট কেন এদেশে এবং অন্যান্য দেশে কাজ করে না, এটাই তার মূল কারণ। কিছু মহিলাই আছে যাঁরা #MeToo নিয়ে মুখ খুলেছিলেন, কিন্তু কী লাভ হল! কে এদের বয়কট করল? এখানে আসলে কিছুই হওয়ার নয়। আমরা বৃহত্তর অর্থে ইন্ডাস্ট্রির কথা বলি। এটা হল সেই জায়গা, এখানে কেউ কারোর, মা, কেউ কারোর বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড কিংবা স্বামী। এটা খানিকটা এইরকম যে তুমি আমার পিঠে আঁচড় কাটছো, আমিও পাল্টা তোমার পিঠে আঁচড় কাটবো।'