জলপাইগুড়িতে বিশ্বাসঘাতকতার ইস্যুতেই বাজিমাত করতে চায় কংগ্রেস

জলপাইগুড়ি পুরনির্বাচনে বিশ্বাসঘাতকতা ও কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতিকে এবার প্রধান হাতিয়ার করতে চলেছে কংগ্রেস। যদিও কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মতে উন্নয়নই হল আসল হাতিয়ার।

Updated By: Apr 5, 2015, 08:23 AM IST

ওয়েব ডেস্ক: জলপাইগুড়ি পুরনির্বাচনে বিশ্বাসঘাতকতা ও কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতিকে এবার প্রধান হাতিয়ার করতে চলেছে কংগ্রেস। যদিও কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মতে উন্নয়নই হল আসল হাতিয়ার।

২০১০ সালের ২৬ জুন জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে ১৬টি জিতে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। চেয়ারম্যান মনোনিত হন মোহন বোস। চেয়ারে বসার পরই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, পরবর্তী পুরনির্বাচনের আগে জলপাইগুড়ি পৌরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নিত করা হবে। ২০১৪ সালের শেষের দিকে আট অনুগামীকে নিয়ে মোহন বসু যোগদান করেন তৃণমূলে। ফলে এক লাফে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা পিনাকি সেনগুপ্তের অভিযোগ, কেন জলপাইগুড়ি পুরসভা  কর্পোরেশন হল না, তার জবাব দিতে হবে তৃণমূলকে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য মনে করেন, কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতি নয়। উন্নয়নই হল আসল কথা।

শুধু কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতিই নয়। উন্নয়নকে ঘিরে দুই রাজনৈতিক দলের কাজিয়ার মধ্যেই জলপাইগুড়ির একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে শহরে কোনও উন্নয়নই হয়নি।

২৮ এপ্রিল পুরসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর তখনই জানা যাবে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, নাকি কর্পোরেশনের প্রতিশ্রুতি। কাকে বেশি গুরুত্ব দিলেন ভোটাররা।

 

.