গ্রামের ছেলে জিয়াউল জঙ্গি প্রশিক্ষক? মানতে নারাজ মালদার গুরুটোলার বাসিন্দারা
সারাক্ষণ মোটা বইয়ে মুখ গুঁজে থাকত যে ছেলেটি, তাকেই কি না বলা হচ্ছে জঙ্গি প্রশিক্ষক? NIA-র দাবিতে মানতে নারাজ মালদহের গুরুটোলার বাসিন্দারা। তাঁদের বিশ্বাস, তদন্তে বেকসুর খালাস হয়ে গ্রামে ফিরবে জিয়াউল।
ব্যুরো: সারাক্ষণ মোটা বইয়ে মুখ গুঁজে থাকত যে ছেলেটি, তাকেই কি না বলা হচ্ছে জঙ্গি প্রশিক্ষক? NIA-র দাবিতে মানতে নারাজ মালদহের গুরুটোলার বাসিন্দারা। তাঁদের বিশ্বাস, তদন্তে বেকসুর খালাস হয়ে গ্রামে ফিরবে জিয়াউল।
কালিয়াচকের পুরাতন ষোলোমাইলের গুরুটোলা। রাস্তার ধারে হলুদ রঙের একতলা বাড়ি। এলাকায় পরিচিতি মসজিদ বাড়ি হিসেবে। একসময় যে বাড়ির সামনে দাঁড়ালে সম্ভ্রমে মাথা ঝুঁকে যেত এলাকাবাসীর, এখন সেদিকেই তাঁরা তাকাচ্ছেন আশঙ্কার দৃষ্টিতে। বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে বাড়ির বড়ছেলে জিয়াউলকে গ্রেফতার করেছে NIA।
বাবা ফরিদউদ্দিন স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক।আরবি ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী জিয়াউলও শিক্ষকতা করত বর্ধমানের তালিত গৌড়েশ্বর হাইস্কুলে। ছুটি কাটিয়ে মঙ্গলবার রওনা হয়েছিল কর্মস্থলের উদ্দেশে। তারপর খোঁজ না মেলায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তিদিনর পর জানা যায় গ্রেফতার করা হয়েছে জিয়াউলকে। কোনও দিন ছাত্র রাজনীতিও করেনি যে, সে কী করে জঙ্গি প্রশিক্ষক হয়? প্রশ্ন পরিবার থেকে প্রতিবেশি সকলেরই।
জিয়াউলের কালিয়াচকের বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাসি চালিয়েছেন NIA-র তদন্তকারীরা। একটি ল্যাপটপ ও কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।