পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, উত্তপ্ত ধনেখালি

সূর্যাস্তের পড়েও অগ্নিগর্ভ ধনেখালি। সকাল থেকে জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছিল সন্ধে নামার পড়েও একই আছে সেই চিত্র। সন্ধেয় পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে স্থানীয় মানুষ। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস। পুলিসের আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে পুলিস হানা দিচ্ছে। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস।

Updated By: Jan 19, 2013, 11:11 AM IST

সূর্যাস্তের পড়েও অগ্নিগর্ভ ধনেখালি। সকাল থেকে জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছিল সন্ধে নামার পড়েও একই আছে সেই চিত্র। সন্ধেয় পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে স্থানীয় মানুষ। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস। পুলিসের আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে পুলিস হানা দিচ্ছে। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস।
লকআপে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। পুলিসের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। আর এই অভিযোগ ঘিরেই কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হুগলির ধনেখালি। চলল পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর, থানায় হামলা। বিক্ষোভ হঠাতে লাঠি চালাল পুলিস। বিক্ষোভ বদলে গেল সংঘর্ষে। ঘটনাস্থল হুগলির ধনেখালি।
ক্ষোভ দানা বাঁধছিল শুক্রবার রাত থেকেই। অভিযোগ, রাত সাড়ে নটা নাগাদ মারতে মারতে এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী কাজী নাসিরুদ্দিনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিস। কিন্তু কেন?
এরপর রাত এগারোটা নাগাদ থানা থেকে ফোন আসে। নাসিরুদ্দিনের বন্ধু সাবেদ আলিকে বলা হয় নাসিরুদ্দিন অসুস্থ, নিয়ে যান। এরপর পুলিসই নাসিরুদ্দিনকে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকেরা। তখনই একবার মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তখনকার মত বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিস। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে আটটা-নটা থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ।
বিক্ষোভকারীদের টার্গেট হয়ে যায় পুলিস। প্রথমে গাড়ি ভাঙচুর। পরে থানায় হামলা। থানা লক্ষ্য করে নাগাড়ে ইটবৃষ্টি। পাল্টা লাঠি চালায় পুলিসও। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। মুহূর্তেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তড়িঘড়ি দোকানবাজার বন্ধ করে বাড়ির পথ ধরেন অনেকে। বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। অঘোষিত বনধের চেহারা নেয় ধনেখালি।

.