টোটোর বাড়বাড়ন্তে জীবিকার সংঘাতে রিক্সা ও অটো চালকরা
টোটোর বাড়বাড়ন্তে রাশ টানা জরুরি। তাই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসনও। পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকাও পৌছে গিয়েছে জেলায় জেলায়। তবে ওই পর্যন্তই। সবটাই থমকে আছে লাল ফিতের ফাঁসে।
ব্যুরো: টোটোর বাড়বাড়ন্তে রাশ টানা জরুরি। তাই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসনও। পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকাও পৌছে গিয়েছে জেলায় জেলায়। তবে ওই পর্যন্তই। সবটাই থমকে আছে লাল ফিতের ফাঁসে।
গাড়িটা ব্যাটারিতে চলে। নতুন যান টোটোর লাইসেন্সের জন্য তাই কোনও ব্যবস্থাই নেই পরিবহণ আইনে। আইনের সেই ফাঁক গলেই রাস্তায় নেমেছে একের পর এক টোটো। কোথাও আবার ছাড়পত্র দেওয়ার কাজটা করেছে স্থানীয় পুরসভাগুলো। বহরমপুর, নদীয়ার বিভিন্ন জায়গায় তাই হু হু করে বেড়েছে বেআইনি টোটো।
প্রশ্ন উঠে এই সব টোটোর যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও। টোটো সংকট বাড়ছে। তাই এবারে টোটো নিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে একটি নিয়ম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যে পরিবহণ দফতর। তৈরি হয়েছে নির্দেশিকাও।
ঠিক হয়েছে, রাস্তায় নামাতে হলে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে টোটোর নক্সার অনুমোদন আনতে হবে। অনুমোদিত কোম্পানির শোরুম থেকেই টোটো কিনতে হবে। পরিবহণ দফতরে তিনশো টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। চালকদের দশ দিনের প্রশিক্ষণের পর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। মোটর ভেহিক্যালসের ঠিক করা নির্দিষ্ট রুটেই টোটো চলবে।
পরিবহণ দফতরের এই নির্দেশিকা চালু করতে গিয়েই হোঁচট খেতে হয়েছে প্রশাসনকে। টোটোর রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সের জন্য দুটি নতুন সফটওয়্যার বাহন ও সারথি এখনও চালু করা যাচ্ছে না। ফলে বেআইনি টোটোর বাড়বাড়ন্তে লাগাম পরানোর কাজও থমকে থাকছে। গাড়ির নয়া অবতার টোটো। পথে নেমেই রীতিমতো রাস্তার দখল নিয়ে নিয়েছে সেই নয়া যান। ব্যাটারি চালিত টোটোর দাপটে মাথায় হাত পড়েছে অটো চালকদের। গলিতে গলিতে ঢুকে পড়ছে টোটো। নয়া চ্যালেঞ্জে দিশেহারা রিক্সা চালকরাও। শুরু হয়েছে জীবিকার সংঘাত।