অভাবে আত্মঘাতী প্রাক্তন ডানলপ-কর্মী

অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করলেন সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক অজয় চ্যাটার্জি। ২০০৬ সালে তিনি ওই সংস্থা থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন। কিন্তু এরপরে সংস্থা তাঁর প্রভিডেন্ড ফান্ড-সহ ন্যায্য পাওনা মেটায়নি বলেই অভিযোগ। অভাবের তাড়নাতেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পরিবারের।

Updated By: Jul 28, 2012, 01:24 PM IST

অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করলেন সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক অজয় চ্যাটার্জি। ২০০৬ সালে তিনি ওই সংস্থা থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন। কিন্তু এরপরে সংস্থা তাঁর প্রভিডেন্ড ফান্ড-সহ ন্যায্য পাওনা মেটায়নি বলেই অভিযোগ। অভাবের তাড়নাতেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পরিবারের।
একদিকে শারীরিক অসুস্থতা। অন্যদিকে চূড়ান্ত অভাবের তাড়নায় মানসিক অবসাদ, এই দু`য়ের যাঁতাকলে পড়ে এবার আত্মত্যার পথই বেছে নিলেন হুগলির সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক অজয় চ্যাটার্জি। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের তরফে। জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধের পর থেকেই হদিশ মিলছিল না অজয়বাবুর। এরপর শুক্রবার সকালে সাহাগঞ্জ লাগোয়া কাটোয়া গেটের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর মৃতদেহ। মানসিক অবসাদের জেরে অজয়বাবু গত কিছু মাস ধরেই আত্মহত্যার কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন অজয়বাবুর স্ত্রী।
২০০৬ সালে পবন রুইয়া সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ২৪০০ শ্রমিককে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়। সেইসময়েই অবসর নেন অজয়বাবুও। অবসরের পরেই সংস্থার কোয়ার্টার ছেড়ে সপরিবারে ভাড়বাড়িতে বসবাস শুরু করেন অজয় বাবু। এরপরেই সামান্য বেতনে একটি স্থানীয় লজে কাজ শুরু করেন তিনি। তবে নিত্য অনটনের জেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন অজয়বাবু। ২০১০ সালে প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ প্রাপ্য টাকার কিছুটা পান অজয়বাবু। তবে বারবার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার একটা বড় অংশ এখনও উসুল হয়নি বলেও অভিযোগ অজয়বাবুর পরিবারের। স্বেচ্ছাবসর নেওয়া শ্রমিকরা এখনও পেনসনভুক্ত নন। রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল সরকার বারবার কারখানা খোলার আশ্বাস দিলেও আদতে কার্যকরী হয়নি এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্তই। আর তার জেরেই এখন অন্ধকারে অজয় চ্যাটার্জির মতো বহু শ্রমিকের ভবিষ্যতই।

.