পাঠভবন ছাড়লেন বিশ্বভারতীতে নিগৃহীতা ছাত্রী

হেনস্থার জেরে শেষপর্যন্ত বিশ্বভারতীর পাঠভবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবার। বুধবার ওই ছাত্রী ভর্তি হল বোলপুর গার্লস স্কুলে। আগামিকাল থেকে ওই ছাত্রী ক্লাস করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Updated By: Jul 18, 2012, 06:14 PM IST

হেনস্থার জেরে শেষপর্যন্ত বিশ্বভারতীর পাঠভবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবার। বুধবার ওই ছাত্রী ভর্তি হল বোলপুর গার্লস স্কুলে। আগামিকাল থেকে ওই ছাত্রী ক্লাস করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। 
বুধবার সকালে বোলপুর গার্লস স্কুলে ছাত্রীকে ভর্তি করানোর জন্য আবেদন করে তার পরিবার। ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার জন্য মহকুমাশাসকও অনুরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে খুব শীঘ্রই তার অভিভাবকদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিতে বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যএই ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের জন্য পাঠভবন কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন করেছেন ছাত্রীর পরিবার। 
বিশ্বভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলেছিল। ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই প্রস্রাব খেতে বাধ্য করেন ছাত্রীকে। ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। পরিবারের তরফে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার গ্রেফতার হন অভিযুক্ত ওয়ার্ডেন। জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। পুলিসের বক্তব্য, ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে রাতে ছাত্রীনিবাস থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ছাত্রীর বাবা-মা সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিস। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের তরফে কোনও এফআইআর দায়ের করাই হয়নি। ওই ছাত্রীর চিকিত্‍সার প্রয়োজন হলে তার খরচ অভিযুক্ত ওয়ার্ডেনের মাইনে থেকে কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বোলপুর আদালত। এই খরচ দিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে বলেও জানায় আদালত।

.