কিছুটা উন্নতি উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির

বিকেলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে এখনও তিস্তার কিছু জায়গায় লালসতর্কতার পাশাপাশি তোর্সা, সঙ্কোশ, কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।

Updated By: Jul 17, 2012, 11:26 PM IST

বিকেলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে এখনও তিস্তার কিছু জায়গায় লালসতর্কতার পাশাপাশি তোর্সা, সঙ্কোশ, কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। নদীর জলস্তর কমতেই ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা।
সোমবার বৃষ্টি না হওয়ায় উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই নামতে শুরু করেছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। তবে, তিস্তা লাগোয়া কিছু এলাকায় এখনও জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। তোর্সা, সঙ্কোশ, কালজানি নদী সংলগ্ন এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। ডুয়ার্সের একাধিক ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় সাত হাজার মানুষ এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি বলেই জানা গেছে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকগুলোতেও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। বন্যাপরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হওয়ায় ইতিমধ্যেই উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে  জলপাইগুড়িতে। যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নাগরাকাটা ব্লকের খয়েরকাটা গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের কাজে লাগানো হচ্ছে বনদফতরের দুটি কুনকি হাতিকে।
যাবতীয় ত্রাণের জন্য গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩০০ টি পরিবারের কাছে এখন বড় সহায় ফুলমতি ও সূর্য নামে ওই দুটি হাতিই।  মঙ্গলবার খেরকাটা এলাকা পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। কোচবিহারের হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ত্রাণশিবিরগুলি থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে নদীর জলস্তর কমার পরেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। সোমবার রাতে তোর্সার ভাঙনের জেরে মধুপুরে ভেঙে পড়েছে দেড়শো মিটার বাঁধ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কুচলিবাড়িতে তিস্তার ভাঙনে ২০০ মিটার এলাকা নদীর গ্রাসে চলে গেছে বলেও জানা গেছে। মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে যান সেচদফতরের আধিকারিকরা।  
গত আর্থিক বছরে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৬০৭ কোটি ২১ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্য পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সাহায্যের নিরিখে বিহারের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এ রাজ্য। যদিও, তাতে পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের। প্রবল বর্ষণে নদীর জল বাড়ায় এই বর্ষাতেও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডুয়ার্স সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান বলছে, বৃষ্টি বাড়লে রেহাই পাবে না দক্ষিণবঙ্গও।
  

.