রাজনৈতিক তত্পরতা ও পুলিসি সক্রিয়তায় ভর করে ভাঙড়ে শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার
রাজনৈতিক তত্পরতা। সঙ্গে পুলিসি সক্রিয়তা। দুই কৌশলে ভাঙড়ে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা রাজ্য সরকারের। পথে নামলেন বিধায়ক। পথে নামল পুলিস। দুইয়ে মিলে সরিয়ে ফেলল অবরোধ। স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠলেও, তা থেকে আগুন ছড়াল না ভাঙড়ে।
ওয়েব ডেস্ক: রাজনৈতিক তত্পরতা। সঙ্গে পুলিসি সক্রিয়তা। দুই কৌশলে ভাঙড়ে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা রাজ্য সরকারের। পথে নামলেন বিধায়ক। পথে নামল পুলিস। দুইয়ে মিলে সরিয়ে ফেলল অবরোধ। স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠলেও, তা থেকে আগুন ছড়াল না ভাঙড়ে।
বুধবার কাশীপুর থানার পানাপুকুর এলাকা থেকে CPIML রেড স্টারের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিস। শর্মিষ্ঠার সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় যুবক সাহানুরকে। তার জেরে বুধবার রাত থেকে ভাঙড়ের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল শুরু হয়।
১৭ জানুয়ারির অশান্তির স্মৃতি সরিয়ে ভাঙড় যখন ছন্দে ফিরছে, তখন আবার ফিরে আসে বিশৃঙ্খলার পুরনো ছবি। কিছু জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। কোথাও ইটের পাঁজা খাড়া করে, কোথাও রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে।
ভাঙড়ে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে মঙ্গলবারই ঢুকেছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ওই দিন ভাঙড়ে ঢুকে নিজে হাতে অবরোধ সরিয়ে দেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। বৃহস্পতিবারও একই ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কেশপুরে আহত ১৫
অবরোধ সরিয়ে ফেরার পথে আন্দোলনকারীদের একাংশ সব্যসাচীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিস তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাড়োয়া রোড দিয়ে ভাঙড়ে ঢুকছিল আরও পুলিস আর RAF। কিন্তু পথ আটকে, আগুন জ্বালিয়ে পুলিসকে রুখে দেয় আন্দোলনকারীরা। ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে প্রশাসন যে তত্পর ঘটনাপ্রবাহেই তা স্পষ্ট।