রীতিমত ছক কষেই 'শ্যুট আউট অ্যাট বাহিরি'-চব্বিশ ঘণ্টার অন্তর্তদন্ত

বাহিরির নিমতলা মোড়ের শুটআউট ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনার ফসল। চব্বিশ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত কুরবান, মোর্তাজা ও বুড়ো শেখের গতিবিধি ট্র্যাক করেই  তৈরি হয় খুনের ব্লুপ্রিন্ট। তারপর নিঁখুত টাইমিং। আর এগজিকিউশন।

Updated By: Sep 30, 2015, 09:56 AM IST
রীতিমত ছক কষেই 'শ্যুট আউট অ্যাট বাহিরি'-চব্বিশ ঘণ্টার অন্তর্তদন্ত

ওয়েব ডেস্ক: বাহিরির নিমতলা মোড়ের শুটআউট ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনার ফসল। চব্বিশ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত কুরবান, মোর্তাজা ও বুড়ো শেখের গতিবিধি ট্র্যাক করেই  তৈরি হয় খুনের ব্লুপ্রিন্ট। তারপর নিঁখুত টাইমিং। আর এগজিকিউশন।
                        
অ্যাম্বুলেন্স করে স্কুটারে ধাক্কা। আরোহীরা মাটিতে পড়ে যেতেই বেপরোয়া গুলি। ঝাঁঝরা কুরবান, বুড়ো ও মোর্তাজা শেখ। পুরোটাই  প্রি-প্ল্যানড।

ছক কষে খুন!

২১ সেপ্টেম্বর কাজল শেখের গাড়ির ওপর হামলা হয়।

হামলার ঘটনার FIR-এ নাম রয়েছে কুরবান শেখের। অভিযোগ, তারপর থেকেই কুরবানকে সরানোর ছক কষছিল কাজল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কাজল শেখ ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরাকে নিয়ে  সোমবার বিধানসভায় নিজের ঘরে বৈঠকে বসেন  বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু, কলকাতা যাওয়ার আগেই কি হামলার ব্লুপ্রিন্ট  ফাইনাল হয়ে যায়? বীরভূম তৃণমূলের একাংশ কিন্তু এমনটাই মনে করছেন।

জুলাইয়ে বাহিরিতে গোষ্ঠীসংঘর্ষে অভিযুক্ত কুরবান ও বুড়ো শেখ।

সেই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করতে সোমবার বোলপুর আদালতে যায় কুরবান ও বুড়ো শেখ।

সেখান থেকে বেলা দেড়টা নাগাদ বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে যায় দুজন।

বৈঠকের পর মোতার্জা শেখকে সঙ্গে নিয়ে সুলতানপুরে বাড়ির পথ ধরে তিনজন।

স্কুটারে করে তিনজন যে সাড়ে তিনটের কাছাকাছি সময় নিমতলা মোড়ে পৌছবে তা আগেভাগেই খবর ছিল কাজল ঘনিষ্ঠদের কাছে। নিমতলা মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে অ্যাম্বুলেন্সে ওঁত পেতে বসেছিল তারা। স্কুটার মুলুক ছাড়তেই  ফোনে খবর পৌছে যায় অ্যাম্বুলেন্সে বসে থাকা  দুষ্কৃতীদের কাছে। বোলপুর-নতুনহাটের রাস্তা এগোতে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স। নিমতলা মোড়ের কাছে শুনসান জায়গাকেই টার্গেট করা হয়।

নিমতলা মোড়ে স্কুটার পৌছতেই অ্যাম্বুলেন্স ধাক্কা মারে স্কুটারে। তারপর গুলি করে পিটিয়ে খুন করা হয় মোতার্জা, বুড়ো ও কুরবান শেখকে। চারটের কিছুর পর অ্যাসাইমেন্ট সেরে বালিবোঝাই লরি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ততক্ষণে চ্যানেলে চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ বাহিরিতে শুট আউট।

সূচপুর গণহত্যার পর থেকেই নানুরে সিপিএমের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরতে শুরু করে।  এলাকার দখল নিতে শুরু করে তৃণমূল। সেই দখলদারির অন্যতম প্রধান কারিগরের নাম কাজল শেখ। অজয়ের বালি, শাসকদলের মাথায় থাকার সুবাদে লক্ষ লক্ষ টাকা নেতা ট্যাক্স। নানুরের বেতাজ বাদশা তৃণমূলের কাজল শেখ।  

 

.