ক্লাসরুম ঠাসা সাইকেলে, 'উচ্ছেদ' পড়ুয়ারা
একের পর এক ক্লাসরুম, শুধুই সাইকেল বোঝাই। সরকার কবে বিলি করবে তার অপেক্ষা। আর ততদিন, লাটে স্কুল। শিকেয় পড়াশোনা। এমনই অবস্থা যে ছুটি দিয়ে দিতে হয়েছে তিনটি ক্লাসকে। এক মাস ধরে চরম অব্যবস্থা বাঁকুড়া দু-নম্বর ব্লকের একটি সরকারি স্কুলে।
ওয়েব ডেস্ক: একের পর এক ক্লাসরুম, শুধুই সাইকেল বোঝাই। সরকার কবে বিলি করবে তার অপেক্ষা। আর ততদিন, লাটে স্কুল। শিকেয় পড়াশোনা। এমনই অবস্থা যে ছুটি দিয়ে দিতে হয়েছে তিনটি ক্লাসকে। এক মাস ধরে চরম অব্যবস্থা বাঁকুড়া দু-নম্বর ব্লকের একটি সরকারি স্কুলে।
ক্লাসরুম ঠাসা সাইকেলে। 'উচ্ছেদ' পড়ুয়ারা
সরকারি সাইকেলে জবরদখল স্কুলের ক্লাসরুম। এক-আধটি নয়। পঞ্চাশ শতাংশ ক্লাসে এভাবেই ঠেসে ঢোকানো দু-চাকার বাহনগুলি। বাঁকুড়ার বিকনা ক্ষীরোদ প্রসাদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। হায়ার সেকেন্ডারি এই স্কুলের এখন এমনই বেহাল অবস্থা। এমনিতেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এত বেশি, যে একেকটি ক্লাসে একাধিক সেকশন করতে হয়েছে। ক্লাস ফাইভ, সিক্সে রয়েছে ছটি করে সেকশন। তার ওপর পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে দশটি ক্লাসরুম দখল করে তা বোঝাই করে দেওয়া হয়েছে সাইকেলে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো, সেই সাইকেল পাহারা দেওয়ার জন্য স্কুলের আরও একটি ক্লাসরুমে জায়গা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র রাজ্য পুলিসকে। ১১টি ক্লাসরুম হাতছাড়া হয়ে এখন স্কুলের পড়াশোনা লাটে।
এক বেঞ্চে সাত-আট জন। গাদাগাদি করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঠেলাঠেলিতে মধ্যে পড়ায় মনোযোগ বসবে কীভাবে! কবে, কখন সাইকেল বিলি হবে, তার জন্য পড়াশোনা লাটে। মানতে নারাজ ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।