অসম থেকে এ রাজ্যে আসা শরণার্থীদের সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
অসম থেকে আসা শরণার্থীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কুমারগ্রামের দুটি শরনার্থী শিবির ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতি ভুলে সকলকে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান তিনি।
ব্যুরো: অসম থেকে আসা শরণার্থীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কুমারগ্রামের দুটি শরনার্থী শিবির ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতি ভুলে সকলকে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান তিনি।
অসমে হিংসার জেরে মানুষ পালিয়ে এসেছেন এরাজ্যে। শরণার্থী শিবিরে জায়গা পাওয়া সেই মানুষের অবস্থা সরে জমিনে ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারই উত্তরবঙ্গে পৌছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতে ছিলেন চাপড়ামারি অভয়ারণ্যের বনবাংলোয়। শনিবার সকালে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে প্রথমে যান কুমারগ্রামের চ্যাংমারি শরনার্থী শিবিরে। কথা বলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাদের মধ্যে গরম জামাকাপড় বিলি করেন। শরণার্থীদের রাজ্যের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। চ্যাংমারির পর তাঁরা যান পূর্ব শালবাড়ির শরনার্থী শিবিরে। এরআগেও অসমের হিংসার জেরে এরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন শরনার্থীরা। সেবারও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবারও শরনার্থী শিবির ঘুরে সেই সাহায্যের আশ্বাসটাই দিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের দিনই অসম কাণ্ডের জেরে বনধ ছিল উত্তর বঙ্গের তিন জেলায়। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তরাই ডুয়ার্সে বারোঘণ্টার সেই বনধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। শহরাঞ্চলে মিশ্র সাড়া পড়লেও আদিবাসী এলাকায় বনধের কিছুটা প্রভাব পড়ে। যার জেরে সকালের দিকে যান চলাচল বন্ধ থাকে ভূটান সীমান্তের জয়গাঁতে।