রানাঘাট কাণ্ড: ৭ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেন ধৃত গোপাল সরকারের স্ত্রী

রানাঘাট কাণ্ডে জড়িত সাত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেন ধৃত গোপাল সরকারের স্ত্রী অনিমা। কনভেন্টের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজ এবং সন্ন্যাসিনীদের বর্ণনা শুনে আঁকা স্কেচ দেখে তাদের সনাক্ত করেন এই মহিলা।চলতি মাসের এগারো তারিখ হাবড়ার গোয়ালবাটি গ্রামে বিয়ে হয রানাঘাটকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল সরকারের দাদা, শক্তি সরকারের বড় মেয়ের।

Updated By: Mar 28, 2015, 10:50 PM IST
রানাঘাট কাণ্ড: ৭ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেন ধৃত গোপাল সরকারের স্ত্রী

ব্যুরো: রানাঘাট কাণ্ডে জড়িত সাত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেন ধৃত গোপাল সরকারের স্ত্রী অনিমা। কনভেন্টের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজ এবং সন্ন্যাসিনীদের বর্ণনা শুনে আঁকা স্কেচ দেখে তাদের সনাক্ত করেন এই মহিলা।চলতি মাসের এগারো তারিখ হাবড়ার গোয়ালবাটি গ্রামে বিয়ে হয রানাঘাটকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল সরকারের দাদা, শক্তি সরকারের বড় মেয়ের।

বিয়ের আগের দিন বাড়িতে এসেছিল মিলন সরকার এবং তার দলবল। তেরোই মার্চ রাতে দলবল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। সেই রাতেই কনভেন্টে ডাকাতি ও সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে আর ফিরে আসেনি মিলন ও তার সঙ্গীরা।  গোপাল সরকারের স্ত্রী অনিমাকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন সিআইডি গোয়েন্দারা।

কনভেন্টের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজ এবং সন্ন্যাসিনীদের বর্ণনা শুনে আঁকা স্কেচ দেখে সাত অপরাধীকে সনাক্ত করেছেন অনিমা।

সাতজনের অন্যতম দুষ্কৃতী দলের পাণ্ডা মিলন সরকার সম্পর্কে অনিমার মেসোমশাই। বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে।

সিসিটিভি ফুটেজের দুনম্বর দুষ্কৃতীকে হাবিব বলে চিহ্নিত করেছেন অনিমা। হাবিবের বাড়িও যশোর জেলায়।

বাকি পাঁচ অভিযুক্তের নাম বাবু, ফারুক, মানিক, তুহিন ও নজু। নজুর বাড়ি যশোরের টিবি ক্লিনিক এলাকায়।

অনিমার দাবি, বিয়ে উপলক্ষ্যে বাড়িতে অনেক লোকজন আসায় তাঁদের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মিলন, সালিম এবং ফারুকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার বন্ধুদের নিয়ে হাবড়ার বাড়িতে মিলন থেকে গেছে বলে জানিয়েছেন অনিমা। দলবলসহ মিলন এলে  বাজার হাট, রান্নাবান্নার দায়িত্ব নিত গোপাল। মিলন এবং তার দলের লোকজন সেই সময় বাড়ির বাইরেই যেত না।  কিছু আনার দরকার পড়লে ডাক পড়ত গোপালের। রান্নার ভার থাকতো অনিমার ওপরেই।

আপাতত অনিমা সরকারের দেওয়া তথ্য থেকেই বাকিদের নাগাল পেতে চাইছেন সিআইডির গোয়েন্দারা।  

 

.