আত্মসমর্পণের আবেদন মাওবাদীদের, পশ্চিম মেদিনীপুরের পথে হাঁটল পুরুলিয়াও
ছবি দিয়ে, পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করে হুলিয়া জারি নয়, বরং সরাসরি মাওবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন। দিনকয়েক আগেই ৬ মাওবাদী নেতানেত্রীর কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন জানিয়ে পোস্টার দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস।
ছবি দিয়ে, পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করে হুলিয়া জারি নয়, বরং সরাসরি মাওবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন। দিনকয়েক আগেই ৬ মাওবাদী নেতানেত্রীর কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন জানিয়ে পোস্টার দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস। তালিকায় ছিল আকাশ, জয়ন্ত, সূচিত্রা মাহাত, তারা, মদন মাহাত, রঞ্জন মুন্ডার মতো মাওবাদী শীর্ষস্থানীয় নেতা, নেত্রীর নাম। পশ্চিম মেদিনীপুরের দেখানো পথে হাঁটল পুরুলিয়াও।
অযোধ্যা পাহাড় ও তার সংলগ্ন এলাকায় পোস্টার দিয়ে পনেরো জন মাওবাদীর কাছে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসার আবেদন জানাল পুলিস। এদের মধ্যে মাওবাদী রাজ্য কমিটির সদস্য অর্ণব দাম ওরফে ভানু ওরফে মাস্টারদা, রাজ্য কমিটির সদস্য এবং প্লাটুন কমান্ডার রঞ্জিত পাল ওরফে নিতিন ওরফে প্রভাতজী এবং অযোধ্যা স্কোয়াডের ৩ সদস্য বীরেন ওরফে সাতার সিং ওরফে রবি, অনিতা ওরফে অপর্ণা এবং হলধর গড়াই ওরফে জলধরের ছবি দিয়ে পোস্টার দেওয়া হয়েছে।
বাকি ১০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। এঁরা হলেন, শিখা মাঝি ওরফে ভারতী, বাজার পাহাড়িয়া ওরফে মৌমিতা, চম্পা মাঝি, হেমন্ত মাঝি ওরফে বুড়ু, বিজয় সিং সর্দার ওরফে বিজয় ভূমিজ, সমীর, রমেশ, কল্পনা ওরফে সরলা ওরফে কবিতা, সুষমা কুমার ওরফে সুজাতা, মীরা পাহাড়িয়া ওরফে মীনা। এদিন বলরামপুর, আরষা, অযোধ্যা পাহাড়সহ একাধিক থানার পুলিস পোস্টার সাঁটতে পথে নামে। এই ১৫ জন মাওবাদীর বিরুদ্ধে পুলিসের অস্ত্র লুঠ, হত্যাসহ একাধিক নাশকতামূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে।