মুখ বন্ধ করাতে ধর্ষিতার ভাইপোকে খুন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন

আইনশৃঙ্খলা ও পুলিসি ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল উত্তর দিনাজপুরে ধর্ষণ ও শিশুহত্যার ঘটনা। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ৬ মাস আগে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। গত ১১ মার্চ অভিযুক্তরা ধর্ষিতার দেড় বছরের ভাইপোকে তুলে নিয়ে যায় তারা। মঙ্গলবার শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে ধর্ষণ ও পরে অপহরণ, কোনও অভিযোগেই গুরুত্ব দেয়নি পুলিস।

Updated By: Mar 28, 2012, 10:07 PM IST

আইনশৃঙ্খলা ও পুলিসি ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল উত্তর দিনাজপুরে ধর্ষণ ও শিশুহত্যার ঘটনা। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ৬ মাস আগে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। গত ১১ মার্চ অভিযুক্তরা ধর্ষিতার দেড় বছরের ভাইপোকে তুলে নিয়ে যায় তারা। মঙ্গলবার শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে ধর্ষণ ও পরে অপহরণ, কোনও অভিযোগেই গুরুত্ব দেয়নি পুলিস। 
ঘটনার সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকায় এক মহিলাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গ্রামেরই ৬ জনের বিরুদ্ধে গোয়ালপোখর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষিতা। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও, পরে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর থেকেই ধর্ষিতা মহিলার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
 
গত ১১ মার্চ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষিতার পরিবার ও অভিযুক্তদের মধ্যে বচসা বাধে। পরে গ্রামের সালিশি সভা ডেকে বিষয়টি সাময়িক মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু সেদিনই গভীর রাতে ধর্ষিতার দাদার বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। অভিযোগ, মহিলার দাদাকে বাড়িতে না পেয়ে, তাঁর দেড় বছরের শিশুপুত্রকে তুলে নিয়ে যায় তারা। পরিবারের অভিযোগ, শিশু অপহরণের ঘটনাকে কোনও গুরুত্বই দিতে চায়নি পুলিস। মঙ্গলবার, অপহৃত সেই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় একটি গমখেত থেকে। 
 
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পরদিন, ১২ মার্চ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিস অপহৃত শিশুটির বাবাকে ধর্ষণকারীদের মারধরের দায়ে গ্রেফতার করে। তিনি এখনও জেল হেফাজতে রয়েছেন। ওই ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও, মুল অভিযুক্তরা এখনও বেপাত্তা।
 
প্রথমে ধর্ষণের ঘটনা, তারপর এই নৃশংস শিশুহত্যা। পরপর দুটি ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই দরিদ্র পরিবারটি। তাদের অভিযোগ, পুলিস নিষ্ক্রিয় না-হলে এই মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত। পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার গোয়ালপোখর থানায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় সিপিআইএম সমর্থকেরা। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির তরফে মহকুমাশাসককে দফতরে এই মর্মে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

.