প্রতিশ্রুতি ছিল ৩৬ হাজার চাকরির, পেল শুধু ১৫ হাজার, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কেউ কথা রাখল না
পঞ্চায়েত নির্বাচন বা হালফিলে পুরসভা নির্বাচন। বিভিন্ন সময় শাসক দলের নেতারা বলেছেন চলতি বছরেই পূরণ হবে প্রাথমিক শিক্ষকের প্রায় ৩৬ হাজার শূন্যপদ। চাকরি হবে বেকার ছেলেমেয়েদের। কিন্তু শুক্রবার সেই প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল মোট খালি থাকা আসনে পাশ করেছেন মাত্র অর্ধেক পরীক্ষার্থী। ফলে যে ৩৬ হাজার চাকরির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নেতামন্ত্রীরা। আপাতত সেটা থেমে যাচ্ছে ১৫ হাজারের আশেপাশেই।
পঞ্চায়েত নির্বাচন বা হালফিলে পুরসভা নির্বাচন। বিভিন্ন সময় শাসক দলের নেতারা বলেছেন চলতি বছরেই পূরণ হবে প্রাথমিক শিক্ষকের প্রায় ৩৬ হাজার শূন্যপদ। চাকরি হবে বেকার ছেলেমেয়েদের। কিন্তু শুক্রবার সেই প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল মোট খালি থাকা আসনে পাশ করেছেন মাত্র অর্ধেক পরীক্ষার্থী। ফলে যে ৩৬ হাজার চাকরির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন নেতামন্ত্রীরা। আপাতত সেটা থেমে যাচ্ছে ১৫ হাজারের আশেপাশেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্যান্য মন্ত্রী। বিভিন্ন সময়ই বলেছেন প্রইমারিতে প্রায় ৩৬হাজার শূন্যপদে চাকরি দিচ্ছে সরকার। সেই মত প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরীক্ষা দেন কয়েক লাখ ছাত্রছাত্রী। কিন্তু শুক্রবার ফল প্রকাশের পরই দেখা গেল পাশ করেছেন মাত্র ১% ছাত্রছাত্রী। অর্থাত্ ৯৯% ছাত্রছাত্রীই ফেল করেছেন। এই অবস্থায় শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে চলতি আর্থিক বছরেই ফের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
৩৬ হাজার শূন্যপদের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন ১৭ লক্ষ ৫১ হাজার জন চাকরি প্রার্থী। সফল হয়েছেন ১৮ হাজার ৭৯৩ জন। অর্থাত্ মোট যে শূন্যপদ সেই শূন্যপদের সমান প্রার্থী পাওয়া গেল না। এই অবস্থায় যে আঠেরো হাজার জনকে নিয়ে পরীক্ষা হবে সেখান থেকেও ইন্টারভিউতে বাদ পড়তে পারেন কয়েক হাজার। অর্থাত্ চাকরি হচ্ছে মাত্র পনেরো হাজারের আশেপাশেই। ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন সরকার যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল ৩৬ হাজার চাকরির। সেটা কি তাহলে শুধুই মানুষের মন জয় করার জন্য। প্রশ্ন উঠছে।