বাড়ির পুজোয় দেশের প্রথম ব্যক্তি যেন সেই পল্টু
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও পুজোর ক`দিন বদলাচ্ছে না প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বরাবরের রুটিন। কিন্তু তাঁর এ বারের আগমনে এবার যেন একটু বাড়তি আনন্দ মিরাটিতে। সপ্তমীতে চণ্ডীপাঠ থেকে শুরু করে পুজোর নানান আচার, সবকিছুই নিজের হাতে সারেন রাষ্ট্রপতি। ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে তাঁর বাড়ির চারপাশ। পরিচয়পত্র ছাড়া বাড়ির ভিতরেও প্রবেশ নিষিদ্ধ।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও পুজোর ক`দিন বদলাচ্ছে না প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বরাবরের রুটিন। কিন্তু তাঁর এ বারের আগমনে এবার যেন একটু বাড়তি আনন্দ মিরাটিতে। সপ্তমীতে চণ্ডীপাঠ থেকে শুরু করে পুজোর নানান আচার, সবকিছুই নিজের হাতে সারেন রাষ্ট্রপতি। ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে তাঁর বাড়ির চারপাশ। পরিচয়পত্র ছাড়া বাড়ির ভিতরেও প্রবেশ নিষিদ্ধ।
বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর গত কুড়ি বছর ধরে বাড়ির দুর্গাপুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। দেশের অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী হিসাবে এর আগে বহুবার সেই দায়িত্ব সামলেছেন সুনিপুণভাবে। তবে এবারের কথা একটু আলাদা। সেদিনের অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রীই এখন রাষ্ট্রপতি। দেশের প্রথম ব্যক্তি। সংবিধানের রক্ষক। তাই প্রোটোকল, নিয়মকানুনের হাজার বিধিনিষেধ। সেই নিষেধাজ্ঞার জন্য তো আর দু`দশকের নিয়ম বদলায় না। সপ্তমীর সকালেও তাই নিয়মমতো চণ্ডীপাঠ থেকে শুরু করে পুজোর নানা আচার, সবই নিজের হাতে সারলেন রাষ্ট্রপতি। তবে এবার পুজোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়ের হাতে।
দুপুরে বাবা কামদাকিঙ্কর মুখার্জির নামে একটি স্কুলের উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি। দেশের প্রথম নাগরিক। তাই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মিরাটি গ্রাম, এমনকী তাঁর পৈতৃক ভিটের চারপাশও। বাড়িতে সাধারণ মানুষের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত। সবমিলিয়ে আপাতশান্ত এই গ্রামজুড়ে এখন চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যস্ততা। তবু চারটে দিন একেবারে অন্যমেজাজে পাওয়া যাবে দেশের প্রথম নাগরিককে। এই ভেবেই আপাতত খুশি মিরাটি।