লোকসভা ভোট প্রচারের শুরুতেই রাজ্যের গ্রামে গঞ্জে বাড়ছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস

সবে শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের প্রচার। কোনও কোনও প্রার্থী এখনও প্রচার শুরুও করেননি। তবে রাজ্যের গ্রামে গঞ্জে প্রতিদিন বাড়ছে রাজননৈতিক সন্ত্রা । মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, নদিয়া, উত্তর এবং চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে শুরু হয়ে প্রচার, মিছিল। প্রার্থীদের সমর্থনে লেখা রঙিন দেওয়াল জানান দিচ্ছে ভোট আসছে। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, উঠছে সন্ত্রাসের অভিযোগ।

Updated By: Mar 22, 2014, 10:10 PM IST

সবে শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের প্রচার। কোনও কোনও প্রার্থী এখনও প্রচার শুরুও করেননি। তবে রাজ্যের গ্রামে গঞ্জে প্রতিদিন বাড়ছে রাজননৈতিক সন্ত্রা । মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, নদিয়া, উত্তর এবং চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে শুরু হয়ে প্রচার, মিছিল। প্রার্থীদের সমর্থনে লেখা রঙিন দেওয়াল জানান দিচ্ছে ভোট আসছে। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, উঠছে সন্ত্রাসের অভিযোগ।

দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে সিপিআইএম-তৃণমূল সংঘর্ষে অশান্ত হুগলির পাণ্ডুয়া। তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদের। দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন পুলিস কর্মীরা। শনিবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূল কর্মীরা সিপিআইএমের পাণ্ডুয়া জোনাল কমিটির দফতরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পঁচিশ জন সিপিআইএম নেতা কর্মীকে।

হুগলির ধনেখালিতে সেখ রাজ্জাক নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রেজ্জাকের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে পুলিস লকআপে মৃত কাজি নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবির হয়ে প্রচার করার পর থেকেই তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যদিও হামলার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

শুক্রবার নদিয়ার ধুবুলিয়ার চরে সংঘর্ষে মৃত ইউসুফ মোল্লা তাঁদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। দলের নেতা কার্তিক পালের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের ।

তবে মন্ত্রীর বক্তব্য, দলীয় কোন্দলেই খুন হয়েছেন ইউসুফ মোল্লা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার কৃষ্ণনগর এক ও দুই নম্বর ব্লক ও চাপড়া ব্লকে বারো ঘন্টা বনধের ডাক দিয়েছে সিপিআইএমএল লিবারেশন।
গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য। প্রশ্ন উঠছে লোকসভা ভোটেও কি সেই একই সন্ত্রাসের পথেই হাঁটছে রাজনৈতিক দলগুলি? নাকি বদল হবে বঙ্গের ভোট চিত্র?

.