পাট্টা দেওয়া জমিতেই ফের পাট্টা বিলি প্রশাসনের
দীর্ঘদিন ধরে পাট্টা দেওয়া জমিকে ফের পাট্টা দিল জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে একুশ একর জমির পাট্টা বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে ওই জমিতে দীর্ঘদিন আগেই পাট্টা পেয়েছেন কয়েকজন কৃষক। এখন তাঁদের সেই জমিই দখল করে নিয়েছেন নতুন পাট্টা প্রাপকরা। প্রশাসনের এই ভূলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ জেলাশাসকও।
দীর্ঘদিন ধরে পাট্টা দেওয়া জমিকে ফের পাট্টা দিল জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে একুশ একর জমির পাট্টা বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে ওই জমিতে দীর্ঘদিন আগেই পাট্টা পেয়েছেন কয়েকজন কৃষক। এখন তাঁদের সেই জমিই দখল করে নিয়েছেন নতুন পাট্টা প্রাপকরা। প্রশাসনের এই ভূলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ জেলাশাসকও।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের অন্যতম অংশই হল ভূমিহীনদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া। বিভিন্ন জেলায় একাধিক সভায় ভূমিহীনদের হাতে পাট্টা তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর একত্রিশে অগাস্টও দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ৪১ জন ভূমিহীনের হাতে জমির পাট্টা তুলে দিয়েছিলেন তিনি। গঙ্গারামপুর ও বংশীহারী থানার রাধানগর ও জয়দেবপুর মৌজার একুশ একর জমির পাট্টা বিলি হয়েছিল। পাট্টা নিয়ে জমির দখল নিতে যান ভূমিহীনরা। আর তখনই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। দেখা যায় ওই ২১ একর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছেন কয়েকজন কৃষক। তাঁদের কাছে পূর্ববর্তী পাট্টার বৈধ কাগজপত্রও রয়েছে। কীভাবে এই জমি ফের পাট্টা দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কৃষকরা।
জেলাশাসক থেকে জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সব জায়গাতেই একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। জমিতে বাড়ি নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন নতুন করে পাট্টা পাওয়া ভূমিহীনেরা। ওই জমি নিয়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে ডাইরেক্টরেট অব ল্যান্ড সার্ভের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জেলা প্রশাসন।
আর এখানেই প্রশ্ন। যখন মামলাই রয়েছে। তখন জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট না হয়ে, কেন সেই জমিতে ফের পাট্টা বিলি হল?