এলোপাথারি গুলি থেকে কান কেটে নেওয়া, পুর ভোটে উত্তপ্তই থাকল আসানসোল
এলোপাথাড়ি গুলি। কোথাও ভোটাররা গুলিবিদ্ধ। কোথাও আবার কান কেটে নেওয়া হল এক তৃণমূল সমর্থকের। ভোটের দিন মোটের ওপর উত্তপ্তই থাকল আসানসোল। বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষ বেধে যায়। আচমকাই গাড়িতে চড়ে বুথের সামনে হাজির চার পাঁচজন। চলে এলোপাথাড়ি গুলি। গুলিবিদ্ধ হন তিনজন ভোটার। বিজেপির দাবি, তিনজনই তাঁদের সমর্থক।
ব্যুরো: এলোপাথাড়ি গুলি। কোথাও ভোটাররা গুলিবিদ্ধ। কোথাও আবার কান কেটে নেওয়া হল এক তৃণমূল সমর্থকের। ভোটের দিন মোটের ওপর উত্তপ্তই থাকল আসানসোল। বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষ বেধে যায়। আচমকাই গাড়িতে চড়ে বুথের সামনে হাজির চার পাঁচজন। চলে এলোপাথাড়ি গুলি। গুলিবিদ্ধ হন তিনজন ভোটার। বিজেপির দাবি, তিনজনই তাঁদের সমর্থক।
বুথে নিজের নির্বাচনী এজেন্ট এবং দলের কর্মীদের নিয়ে হাজির হন পঁয়ষট্টি নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ সেলিম আখতার। সে সময় তাঁর ওপর চড়াও হন নির্দল প্রার্থী আখতার হোসেন। তৃণমূল প্রার্থীর মাথায় আঘাত করা হয়। কান কেটে নেওয়া হয় তৃণমূল কর্মী চিঙ্কু খানের।
যদিও নির্দল প্রার্থী পরে বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
পরিবারের সঙ্গে ভোট দিতে যান মন্ত্রী মলয় ঘটকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বৈজু শর্মা। তখনই তাঁর ওপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন। বাঁশ ও রড দিয়ে বৈজুর মাথায় আঘাত করে তারা। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী। দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করলে আক্রান্ত হন দুজন ভোটারও। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপি কর্মীরা মিলেই এই আক্রমণ চালিয়েছে।
অভিযোগ বুথ দখল করতে যায় তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দেন তেরো নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মানিক রুই দাস। তখনই সিপিএম প্রার্থীদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। মারধরে পা ভাঙে মানিক রুই দাসের। আহত হন সিপিএম প্রার্থী স্ত্রী এবং ছেলে। হাসপাতালে ভর্তি প্রার্থী সহ পাঁচজন।
ইস্টার্ন রেলওয়ে হাইস্কুলে চুয়াল্লিস নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকটি বুথে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। তবে কংগ্রেসের বাধায় শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যায় বহিরাগতরা। সব মিলিয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই পুরভোট মিটল আসানসোলে।