মুখ থুবড়ে পড়ল কামদুনির আন্দোলন, নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি ক্ষোভে প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ালেন মৌসুমী কয়াল
নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল। গত কয়েকমাস ধরে যে গ্রামকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়েছিলেন এরাজ্যের বহু অত্যাচারিত মানুষ, তাঁরাও যেন ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেন। প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। এবার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলে যেন কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন মৌসুমী কয়াল।
নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল। গত কয়েকমাস ধরে যে গ্রামকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়েছিলেন এরাজ্যের বহু অত্যাচারিত মানুষ, তাঁরাও যেন ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেন। প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। এবার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলে যেন কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন মৌসুমী কয়াল।
সাতই জুন। কামদুনিতে গণধর্ষণের পর খুন হন কলেজ ছাত্রী। নৃশংস সেই ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামেন গ্রামের মানুষ।
দোষীদের শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠে কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ।
সামিল হন রাজ্যের অন্যান্য জায়গার প্রতিবাদী মানুষজন ও বিশিষ্টরা।
প্রথম থেকেই সরকার ও শাসক দল উদ্যোগী হয়েছিল, এই আন্দোলনকে আটকাতে। কারণ, প্রতিবাদের এই আন্দোলন আদতে ছিল প্রশাসন ও সরকারের বিরোধী।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও খাদ্য মন্ত্রীর বিরামহীন চেষ্টায় অবশেষে প্রথম সাফল্য আসে শান্তি রক্ষা কমিটির হাত ধরে। তার পরেই গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া একলক্ষ টাকা ও চাকরি নিতে রাজি হয়ে যায় নির্যাতিতার পরিবার। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্যাতিতার পরিবার।
চাকরি আর আর্থিক সাহায্যের বিনিময়ে নির্যাতিতার পরিবারের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ গোপন করতে পারেননি মৌসুমিও।
ক্ষুব্ধ কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের অন্য সদস্যরাও।
একদিকে নির্যাতিতার পরিবারের সরে দাঁড়ানো, অন্যদিকে শাসক দল ও সরকারের ক্রমাগত চাপে শেষ পর্যন্ত থমকে গেল আন্দোলন।